দীর্ঘ এক দশক পর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে পদ না পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি খোলা চিঠি লিখেছেন সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে ‘দলের দুঃসময় এলে আবারও দায়িত্ব নিতে চাই’ শিরোনামে এ খোলা চিঠি লিখেন মনির। এতে ছাত্রদলের দুঃসময়ে নিজের ত্যাগ, সংগ্রামের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছে, ‘আমি মনির হোসেন শাবিপ্রবি ছাত্রদলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু (২০১৩) থেকে আজ-অব্দি ছাত্রদলের সকল কর্মসূচি দায়িত্ব নিয়ে পালন করে আসছি। বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছি দুঃসময়েও এবং গ্রেফতার হয়ে কারাবরণও করেছি । অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ১৪ মার্চ শাবিপ্রবি ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয় কিন্তু কমিটিতে আমাকে বঞ্চিত করা হয়।’
নিজের বাদ পড়ার কারণ জানতে চেয়ে তিনি লিখেন, ‘কি অদৃশ্য বিশেষ কারণে/ ক্রাইটেরিয়াতে আমাকে বাদ দেয়া হলো তা আমি জানতে চাই? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (৮-৯/,৯-১০সেশন), জাহাঙ্গীরনগর (৯-১০/১০-১১সেশন), ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (১০-১১ সেশন), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১১-১২ সেশন) এর ছাত্রনেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সব ক্রাইটেরিয়া কি শাবিপ্রবির ক্ষেত্রে প্রজোয্য (আমার সেশন ২০১২-১৩) তা আমার অবুঝ মন জানতে চায়।’
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রিয় সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান স্যার। এই খোলা চিঠি যদি আপনার (তারেক রহমান স্যার) নজরে আসে তাহলে আমি আপনার সাথে এক মিনিট কথা বলতে চাই যা আমার রাজনৈতিক জীবনের পরম চাওয়া।’
নতুন কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিশেষে বলতে চাই যারা নতুন কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েছে তারা আমার হাত ধরেই ২০২২ সালের নভেম্বরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে আসে তাদের প্রতিও রয়েছে আমার ভালোবাসা। নবনির্বাচিত কমিটির সকলের জন্য শুভ কামনা।’
উল্লেখ, গত ১৪ মার্চ শাবিপ্রবি ছাত্রদলের ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের রাহাত জামান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের (২০১৭-১৮) শিক্ষাবর্ষের নাঈম সরকার। কমিটিতে সাবেক দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন পদ না পাওয়াতে বিশ্নবিদ্যালয়টির ছাত্রদল কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
শেয়ার করুন