৫৬-তেও নায়িকা ভাগ্যশ্রীর চেহারায় তারুণ্য, কী খান অভিনেত্রী!

বিনোদন

বয়স শুধুই একটি সংখ্যা, এমনটিই প্রমাণ করেছেন ‘ম্যানে প্যার কিয়া’ ছবির নায়িকা ভাগ্যশ্রী। ৫৬ বছর বয়সেও সৌন্দর্যে প্রভাব পড়েনি। টানটান ত্বক, দীপ্তি চোখে-মুখে। কী খেয়ে এমন নির্মেদ চেহারা ধরে রেখেছেন তিনি?মাঝেমধ্যেই রূপচর্চা এবং শরীরচর্চা নিয়ে অনুরাগীদের নানা রকম পরামর্শ দেন অভিনেত্রী।

খাওয়াদাওয়ায় সব সময় নিয়ন্ত্রণ থাকে তার। শরীরচর্চাও করেন। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন এক সবজির কথা, যা মহারাষ্ট্রে খুব জনপ্রিয়।

ভাগ্যশ্রী পোস্ট করেছেন, ‘মরাঠি প্রোটিন গভর ফালি। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ।’

তিনি জানান, জোয়ার অথবা নাচনি ভাকরির (মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় রুটি) সঙ্গে আচার দিয়ে খেলে মহারাষ্ট্রের খাবারের আসল স্বাদ পাওয়া যায়।

ভাগ্যশ্রী যে সবজিকে ‘গভর ফালি’ বলছেন, সেটি আসলে কী? এই সবজির ইংরেজি নাম ক্লাস্টার বিনস। মূলত উত্তর ভারতে এবং মহারাষ্ট্রে ক্লাস্টার বিনস খাওয়ার চল বেশি

বাংলায় লোকজন বিনস খান তবে ক্লাস্টার বিনসের সঙ্গে তার কিছু তফাত আছে। দুটি বিনসের পার্থক্য রয়েছে আকৃতি এবং রূপে। এতে একটু তেতো ভাব থাকে তবে এখন অনলাইনের বদৌলতে কলকাতায় বসেও এই সবজি পাওয়া যায়। ভাগ্যশ্রী খান বলেই নয়, পুষ্টিবিদরা বলছেন, ক্লাস্টার বিনসের উপকারিতা অনেক।

বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ বীণা বি জানান, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দিতে সাহায্য করে সবজিটি।

এক. ক্লাস্টার বিনে প্রচুর ফাইবার থাকে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এই সবজি।

দুই. এতে থাকা পটাশিয়াম, রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার দরকার হয়। এ ছাড়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

তিন. এতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। অথচ পুষ্টিগুণের অভাব নেই। ফলে ওজন কমাতে চাইলে ক্লাস্টার বিন রাখতে পারেন ডায়েটে।

চার. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক সবজিটি। ফাইবার থাকায়, অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। এ ছাড়া খিদের মুখে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *