বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে টাঙ্গুয়ার হাওরে

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলার নজরখালী বাঁধ ভেঙে টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি ঢুকলেও ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। এর পূর্বেই হাওরে আবাদ করা বোরো ধান সম্পূর্ণ কেটে ফেলেছে কৃষকগন।শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে গোলাবাড়ি গ্রাম সংলগ্ন বাঁধটি ভেঙে যায়।

বাঁধটির পাশের বাসিন্দাগন জানান,কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে সামান্য পরিমানে নেমে আসা পানি বৌলাই ও পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়।

আর এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত নয় এবং যে সকল কৃষকগন বোরো আবাদ করেছিল তারাই নিজেদের উদ্যোগে এই বাঁধটি নির্মাণ করে প্রতি বছর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে সকল কৃষক নিজ উদ্যোগে আগাম জাতের ধান চাষ করেছিল তা ইতোমধ্যে কাটা শেষ করেছে। যার ফলে ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। নজরখালী বাঁধের ভেতরে তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৮২টি গ্রামের কৃষক ১০ হাজার একর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেন। এই বাঁধটি ভেঙে পানির চাপ কমিয়ে দেয় এর ফলে তাহিরপুর উপজেলার ফসল রক্ষা অন্যান্য বাঁধে ঝুঁকি কমে যায় বলে জানিয়েছেন হাওর পাড়ের বাসিন্দা ও কৃষকগন।

টাংগুয়ার হাওর পাড়ের কৃষক আহমদ নূর জানান, নজরখালি বাঁধ ভেঙে গিয়ে হাওর পানিতে ডুবে গেলেও আগাম জাতের ধান চাষ করায় এবার ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য শুকানোর কাজ করছি,অনেকেই শুকিয়ে ঘরে তুলতে পেরেছে। এ কারনে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আরেক কৃষক শাকিল মিয়া জানান, যে বাঁধটি ভেঙেছে সেটি নিজদের প্রয়োজনে প্রতি বছর বাঁধ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক পয়সাও দেয়নি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নয় আর কৃষকদের ধান চাষাবাদে নিরুৎসাহিত করা হয় প্রতি বছরই৷ কারন বৃষ্টির পানি ও সামান্য পরিমানে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতেই নদী ভরে গিয়ে নজরখালী বাঁধ চাপ সৃষ্টি করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *