আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর (পিপি) বক্তব্য শোনার পর এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে অভিনেত্রীর জামিন শুনানি হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে আদালতের হাজত খানায় হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে সকাল ১০টায় সিএমএম কোর্টে তোলা হয়। পরে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে তিনি আদালতের কাঠগড়ায় সামনের অংশে ছিলেন। তবে শুনানিকালে কোনো কথা বলেননি, বিমর্ষ মনে দাঁড়িয়েছিলেন নুসরাত।
এসময় জামিন শুনানির বিরোধীতা করে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে ফ্যাসিস্টের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এদের মতো অভিনেত্রীরা জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাদের জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে বিরোধীতা করেছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এই কথা বলার পর পরই নুসরাত ফারিয়ার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তার চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। এরপর তাকে চোঁখ মুছতে দেখা যায়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ২২মে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সাপেক্ষে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে রোববার বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন এনামুল হক।এদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি ভুক্তভোগীর পায়ে লাগে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে এ বছরের ৩ মে মামলা করেন তিনি। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১৭ শিল্পীসহ ২৮৩ জনকে এজাহারনামীয় করা হয়েছে। এ মামলায় ২০৭ নম্বর আসামি নুসরাত ফারিয়া। মামলায় তাকে আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন