রাত পোহালেই দেশজুড়ে উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) সিলেট জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি— মাংস কাটা ও সংরক্ষণের জিনিসপত্র কেনাকাটা, বাসাবাড়ি পরিষ্কার করা, মসলা তৈরি ইত্যাদি ব্যস্ততা।
সকাল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সন্ধ্যায় নগরীর জিন্দাবাজারে তিল ধারণের ঠাই ছিলোনা।
তবে কাঁচাবাজার, মশলা ও মাংস কাটার সরঞ্জামের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। অনেকে আবার গরু বা ছাগলের জন্য খড়, পানি ও দড়ি কিনেছেন। বাসাবাড়িতে শিশুরা তাদের প্রিয় কোরবানির পশুর সঙ্গে সময় কাটিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদের নামাজ প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটে প্রতিবারের মতো এবছরও ২ হাজার ৯৪১টি স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সিলেট মহানগরীর ৩৯০টি স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে খোলা স্থানে ও ঈদগাহে হবে ১৪২টি এবং নগরীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল আজহার ২৪৮টি জামাত হবে। সিলেট জেলায় এবার ঈদুল আজহার জামাত ২ হাজার ৫৫১টি স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্যে ২ হাজার ২৭৪টি মসজিদে ও ২৭৭টি ঈদগাহে পালিত হবে এই জামাত।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে কোরবানী ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। জামাতের আগে কোরবানীর ঈদের তাৎপর্য বিষয়ক বয়ান পেশ করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান এবং নামাজে ইমামতি করবেন একই মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমদ।
এদিকে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে কোরবানির হাট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।
শেয়ার করুন