
ফল চূড়ান্ত, এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরপরই ঘোষণা হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। জানা যাচ্ছে, ইতোমধ্যেই সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে অনেকটাই নিশ্চিত হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে আব্দুর রশিদ জিতুর নাম। সাধারণ সম্পাদক তথা জিএস হিসেবে জানা যাচ্ছে মো. মাজহারুল ইসলামের নাম। কিছুক্ষণ পরেই সিনেট ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান চূড়ান্ত এই ফল ঘোষণা করবেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আব্দুর রশিদ জিতু স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন; যদিও তার প্যানেলের বাকি মোট ২০ প্রার্থীর কেউই নির্বাচিত হননি বলে সূত্রের তথ্য।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলাম, এজিএস (পুরুষ) ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (নারী) আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলার নাম জোর আলোচনা শোনা যাচ্ছে।
এছাড়াও শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে আবু উবায়দা উসামা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে সাফায়েত মীর, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শেখ জিসান, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রায়হান উদ্দিন, নাট্য সম্পাদক পদে রুহুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহমুদুল হাসান কিরণ, সহ-ক্রীড়া (ছেলে) পদে মহাদী হাসান, সহ-ক্রীড়া (মেয়ে) পদে ফারহানা আক্তার লুবনা, আইটি ও গ্রন্থাগার পদে রাশেদুল ইমন লিখন, সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন পদে হাফেজ আরিফুল ইসলাম, সহ-সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন (ছেলে) পদে তৌহিদ ইসলাম, সহ সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন (মেয়ে) পদে নিগার সুলতানা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে হুসনে মোবারক, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে তানভীর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।
তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করলেই এই তালিকা চূড়ান্ত হবে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ১১ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬। নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল।
তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’।
এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একটি বিভাজিত অংশ এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটগ্রহণ বর্জনের ঘোষণা দেয়। এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
শেয়ার করুন