ভূমিকম্পের পর রাজধানীর বিভিন্ন একালার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে সড়কে নেমে আসেন। রাজধানীর পাশাপাশি চাঁদপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, বগুড়া, বরিশাল, মৌলভীবাজার থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সমকালের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার প্রতিনিধি জানান, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূকম্পন শুরু হয়ে তা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এসময় আতঙ্কিত হয়ে মানুষজন ছুটাছুটি করতে থাকে। ঘর থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। আড়াইহাজারের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, হঠাৎ জানালার পাশে এসে দেখি পুকুরের পানিতে প্রচুর ঢেউ হচ্ছে। তখন দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে আসি। বাইরে এসে দেখি আতঙ্কিত মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জাতীয়

বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কলকাতা ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় সিলিং ফ্যান ও দেয়ালে টাঙানো জিনিসপত্র দুলতে দেখেছেন তারা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার বহু মানুষ ঘরবাড়ি ও অফিস থেকে বেরিয়ে সড়ক ও ফাঁকা স্থানে যান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ভূকম্পনের মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর এবং কোচবিহার। এ ছাড়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি টের পাওয়া গেছে। তবে কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (এনসিএস) বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সকাল ১০টা ৮ মিনিটে (ভারতীয় সময়) অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল ঢাকার নরসিংদীতে।

পাকিস্তানেও ভূমিকম্প
এনসিএস- এর বিবৃতি অনুযায়ী, দেশটিতে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূকম্পন হয় বৃহস্পতিবার। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সাধারণত অগভীর ভূমিকম্প গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। কারণ, অগভীর ভূমিকম্পের সিসমিক তরঙ্গ ভূমিতে পৌঁছাতে কম দূরত্ব অতিক্রম করে, ফলে ভূমিতে বেশি কম্পন এবং স্থাপনার ক্ষতি ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে।

আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উত্তর ভারত বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পন প্রবণ অঞ্চল। এখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে প্রায়ই মাঝারি থেকে শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *