
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া ওই কম্পনে সারা দেশে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়।
ভূকম্পে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে রেলিং ধসে তিনজন পথচারী নিহত হন।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে একজন ও নরসিংদীতে দুজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, ‘বড় ভূমিকম্প আসার আগে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয় এটি তার আগাম বার্তা।’
তিনি বলেন, সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ বছর পরপর একটি অঞ্চলে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা থাকে। বাংলাদেশ ও এর আশপাশের কাছাকাছি এলাকায় গত দেড়শ বছরে একটি বড় ও প্রায় ৫টি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
বাংলাদেশের আশপাশে সবশেষ বড় ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্প কাছাকাছি সময়ে হতে পারে এমন শঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মেহেদি আহমেদ আনসারী আরো বলেন, বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন তৈরি করলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে এটিই স্বাভাবিক। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় শহরগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে যে ভবনগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে তাতে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা বেড়েই চলেছে।
শেয়ার করুন



