নবীগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচীতে পুলিশের বাধা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

হবিগঞ্জ

সারা দেশব্যাপী জ্বালানি তেল, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও বিএনপি দুই কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ শহরের গোল্ডেন প্লাজার সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিকেলে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে শহরের গোল্ডেন প্লাজায় ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে অপর পক্ষ শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিকে গউছসহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ। বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। এক পর্যায়ে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গোল্ডেন প্লাজা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে এতে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় গোল্ডেন প্লাজার প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবরোদ্ধ করে রাখে পুলিশ। পরে গোল্ডেন প্লাজার পিছনের ফটক দিয়ে বের হয়ে নেতাকর্মীরা মধ্যবাজারে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ মানুষ দিগবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এদিকে শহরের শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির অপর পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ কঠোরভাবে বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষোভ মিছিল করতে না পেরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিকে গউছ।

এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

এব্যপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ডালিম আহমেদ বলেন, পুলিশের সাথে বিএনপির কোনো সংঘর্ষ হয়নি, বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়ি হয়েছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে ছিল। আমাদের কেউ আহত হয়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *