দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা নিয়ে প্রার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। সম্মেলনে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন।
সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নতুন নেতৃত্ব সিলেটে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও সংগঠিত করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বৃহত্তর অবদান রাখবে আশা প্রকাশ করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে দীর্ঘদিন থেকে সম্মেলন না হওয়ায় এবং মামলা-নির্যাতনের কারণে অনেক নেতা-কর্মী বিদেশে ও বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এরপর সম্প্রতি সরকার বিরোধী আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি পেতে থাকলে সাংগঠনিক কর্মকান্ড কিছুটা জোরদার হয়েছে। এই অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছিলো। এরমধ্যে সম্মেলন ও কাউন্সিলের ঘোষণা আসে। এরপর পাল্টে যেতে থাকে সকল হিসাব নিকেষ। কাউন্সিলে সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাঈদ আহমদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহেদ আহমদ চমন।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ,জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নেসার ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি লিটন আহমদ।
আহবায়ক কমিটি নিয়ে মান-অভিমান ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও কাউন্সিল ঘোষণার পর শুরু হয় প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। প্রার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সাধারণ নির্বাচনের মতো সবাই কাউন্সিলদের নিকট আন্দোলনে সংগ্রামে দলের জন্য নিজেদের পূর্বের ত্যাগ ও ভবিষ্যত সংকল্প তুলে ধরছেন। ভোটারদের বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অথবা বাজারে দরে বসছেন প্রার্থীরা। এতে কর্মীদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। কর্মীরাও এখন অনেক উজ্জীবিত। আগামীদিনে যারা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন-এমন নেতৃত্বের প্রত্যাশা সকলের।
সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন পরে কাউন্সিল হচ্ছে। অনেকেই যুবদলের কমিটির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে দলীয় কর্মকান্ড থেকে সরে গেছেন। অনেকে অন্য পেশায় চলে গেছেন।এছাড়া সরকারের নির্যাতন হামলা মামলায় অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। তবে কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে বলে আশা করেন তারা।
জেলা যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু বলেন, সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ছাড়াও উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। নির্বাচনে ৫৮৭ জন কাউন্সিলর জেলা যুবদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান।
শেয়ার করুন