সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ২০১৭ সালে গঠন করা হয়েছিলো। জেলার নির্দেশনা ছিলো- উপজেলার দায়িত্বশীলরা এক বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন।
কিন্তু সেই এক বছরের কমিটিতে পার হয়েছে সাড়ে ৫ বছর। বর্তমানে ওই কমিটির অর্ধেকের বেশি নেতা বিবাহিত ও চাকরিজীবী। এছাড়াও কয়েকজন চলে গেছেন প্রবাসে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম।
এদিকে, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবিদার তিন নেতা। তবে জেলার নেতারা বলছেন- কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি। ১৪ বছর পর ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। মো. এখলাছুর রহমানকে সভাপতি ও মো. ফারুকুজ্জামান রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ৩৭ সদস্যের এ আংশিক কমিটি অনুমোদন করে তৎকালীন সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছিল ওই কমিটির দায়িত্বশীলদের ওপর। কিন্তু সাড়ে পাঁচ বছরেও তা হয়নি। সংগঠনের এই আংশিক কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যেই এখন ১৪ জন বিবাহিত ও ৯ জন চাকরিজীবী। প্রবাসেও চলে গেছেন কয়েকজন। তাছাড়া হাতেগোনা কয়েকজন বাদে কমিটির অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব নেই।
সভাপতি এখলাছুর রহমান দেড় বছর আগে দেশত্যাগ করেছেন। এখনো ফেরেননি তিনি। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করছেন তিনজন। তারা হলেন- সহসভাপতি শামসুল, রূপক ও হাসান।
অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান রানা বিবাহিত। সংসারের বেড়াজালে বন্দী হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের তেমন একটা অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তিনি।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। ওখানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। নিবেদিত নেতা-কর্মীদের কমিটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শেয়ার করুন