মাধবপুরে প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা

হবিগঞ্জ

রিংকু দেবনাথ
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা সামনে রেখে হবিগঞ্জের মাধবপুরে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। মাটির কাজ শেষে এখন শিল্পীর রংতুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠছে দেবীর রূপ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতে মা দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার ও গ্লানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন। এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে সারা দেশের মতো হবিগঞ্জের মাধবপুরে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। আর এ পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এদিকে উপজেলার হিন্দুধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঘরে ঘরে চলছে আনন্দ উৎসব ও পূজার প্রস্তুতি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১ অক্টোবর শুরু হবে পূজা। দশমীপূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ অক্টোবর উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। উপজেলার বিভিন্ন দুর্গামন্দির ঘুর দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে।

উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির তথ্যমতে, এবার উপজেলার মোট ১২২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।কথা হয় মাধবপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের কাটিয়ারার প্রতিমাশিল্পী রিপন পালের সঙ্গে, ছোটবেলা থেকে কাদামাটি ও রংতুলির সঙ্গে বেড়ে ওঠা রিপন পালের জন্ম এ এলাকায়। প্রতিবছর তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেট প্রতিমা তৈরির ফরমাশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইতিমধ্যে ৭ সেট প্রতিমা বিক্রি দিয়েছেন তিনি। প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। বিক্রি করেন ২৫ হাজার টাকায়। তিনি জানান, ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মূলের প্রতি সেট প্রতিমা বিক্রি করে বলে জানান।পূজা সামনে রেখে উপজেলা ও থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা। শারদীয় দুর্গা উৎসবে আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক তিনি বলেন, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে। তাদের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব কটি পূজামণ্ডপ গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অন্য বছরের চেয়ে এবার জোরালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না এবারের পূজায়। তবে এ জন্য তিনি সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

বার্তা প্রেরক
রিংকু দেবনাথ
০১৭৪৮-৫১৩৫৫১

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *