জনগণের সমর্থন নিয়েই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে : ড. কবির বিন আনোয়ার

সিলেট

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। শুধু বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর “বাংলাদেশ” হিসেবে এদেশের নামকরণও তিনি করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে বিধস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তিনি কাজ করেছেন। মাঠি ও মানুষকে নিয়ে তিনি আবারও দেশ গড়েছিলেন। তখনকার সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় সাড়ে ৯% যা এখনো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের ব্যবধানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তনয়া স্বদেশে ফিরে দেশ গঠনে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব নেতারা তাঁকে সমীহ করছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপরেখা পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় আগামীর বাংলাদেশ হবে-স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের সমর্থন নিয়েই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন দেশে এখন মেগা মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, আগামীতেও হবে। বিএনপি-জামায়ত ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির কোনো যড়যন্ত্রই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। কারণ নেতৃত্বে আছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়ন হবেই। তিনি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতার ইতিহাস ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রাম করেই আজকের অবস্থানে এসেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে তারিখের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। আর এখন স্মার্ট কর্মী বাহিনী তৈরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৪৯ টি জেলায় ‘রোড টু বাংলাদেশ’ এবং স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন করেছি। এই স্মার্ট কর্মী বাহিনী বিএনপি-জামায়াতের গুজবের বিপরীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রচার করবে। জনগণ গুজব নয় উন্নয়নকেই গ্রহণ করবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের কাছে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। করোনাকালীন সময়সহ প্রত্যেকটি দুর্যোগে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে ছিলো। জনগনকে বিভিন্ন পর্যায়ে ১১১ টির বেশি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। মেয়েদের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নতি করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তা আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে। অসাধারণ একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের ধারা চালু করছেন সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও সরকার গঠন করবো ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর-২০২৩ইং) সকালে কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান “Centre for Research and Information-CRI” এর কারিগরি সহায়তায় “Road to Smart Bangladesh – The Drill Online Campaign Training” পরিচালনা করা হয়।

প্রশিক্ষণে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মনোনীত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে “স্মার্ট কর্ণার” উদ্বোধন করেন।

প্রশিক্ষণ ও ‘স্মার্ট কর্নার’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নাজনীন হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ  বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ছালেহ আহমদ হীরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, আবদাল মিয়া, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীর আলম, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ প্রমুখ।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মো: সানাওর, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিম জুনেল, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারওয়ার সবুজ, সৈয়দ কামাল, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, আতিকুর রহমান সুহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ২ জন করে সক্রিয় অনলাইন কর্মীবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সক্রিয় অনলাইন কর্মীবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *