সিলেটের বিশ্বনাথে দীর্ঘদিন ধরে নব গঠিত পৌরসভা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে তিনটি কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম বলা যায় অনেকটা শূণ্যের কোটায় রয়েছে। অনেক নেতাকর্মী রাজপথ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন প্রবাসে। আর কেউ কেউ বছরের পর বছরের পর সময় পার করছেন কমিটির আশায়।
শিগগিরই বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী সভা করে তিনটি ইউনিটের কমিটি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।
তিনটি ইউনিটে যাচাই-বাচাই করে কমিটি দ্রুত সময়ে কমিটি দেয়ার জন্য জেলার নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সবশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন শীতল বৈদ্য ও সাধারণ সম্পাদক শাহ বুরহান উদ্দিন রুবেল। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
ওই বছরের ৩১ জুলাই এক বছরের মেয়াদ দিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক একটি কমিটি অনুমোদন দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আংশিক এই কমিটিতে সদস্য ছাড়া শীতল বৈদ্যকে সভাপতি ও মোবারক হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে সাংগঠনিক পর্যন্ত ৩০ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। আর এই কমিটির এক বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে।
মেয়াদ শেষ হলেও ২০২০ সালে কমিটির সভাপতি শীতল বৈদ্য পাড়ি জমান প্রবাসে। ফলে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটির ৪নং সহ সভাপতি পার্থ সারথী দাশ পাপ্পুকে ভাপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটিতে পার্থ সারর্থী দাশ পাপ্পুকে পূণরায় সভাপতি করে দায়িত্ব দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখ ভট্রাচার্য।
চলতি বছরের গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।ফলে বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের তিনটি ইউনিট এখন কমিটি বিহীন রয়েছে।
এদিকে, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের প্রাঙ্গনে নবগঠিত পৌরসভায় ও বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের লক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে জেলা ছাত্রলীগ।
ওইদন জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মিসভা শেষে এ সিভি সংগ্রহ করা হয়। এই দুই ইউনিটের দুই শীর্ষ পদের জন্য প্রায় অর্ধশত ছাত্রনেতা তাদের সিভি জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের দাবি, দ্রুত সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দেয়ার জন্য।কমিটি যাতে বিতর্কিত কেউ না আসতে পারে। সেজন্য সঠিক ছাত্রত্ব যাদের রয়েছে এবং ক্লিন ইমেজের ছাত্রদের দিয়ে কমিটি দেয়া হয়।
এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ সিলেটপ্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ও পৌর ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। ওই দুই ইউনিটে দ্রুত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক’ পদে জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে অচিরেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা কমিটির মেয়াদ অনেক পূর্বেই শেষ হয়েছিল তাই সম্প্রতি জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। শিগগিরই আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীসভা আয়োজন করবো এবং দ্রুত নতুন কমিটি ঘোষণা করবো।
শেয়ার করুন