অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

জাতীয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার এসেছে, অবশ্যই আমরা তাদের যৌক্তিক সময় দিবো। সকল প্রকার সহযোগিতা আমরা এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চায়, জনগণ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় এ বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করে আসছে। জনগণের সমর্থনের সরকারের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত সংস্কার আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনায় বসা দরকার। তারা কী চায়, জনগণ কী চায়, আমরা কী চাই- এ বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। না হলে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।

তবে কেউ যেন বিভাজন সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো ধরনের দুর্বৃত্তায়নের সাথে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি দুয়েকজন করে থাকে, সেটা তারা ব্যক্তিগতভাবে করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ঢালাওভাবে মামলা না করার পরামর্শ দিয়ে নেতাকর্মীদের বলেন, পুলিশের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে নিন। এমন কোনো মামলা দিবেন না, যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হবে না। সব মামলা কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে না করে, যেখানে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের নামে মামলা করতে হবে।

অনেক ধরনের চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে এখনো অনেক ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের বিপ্লবকে নস্যাৎ করে দেয়া। যেখানে বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, যার এক পারসেন্টও সঠিক না।

বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বেশি ত্যাগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর জেল খেটেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাসিত হয়েছেন। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যারা অন্যায় নিপীড়নের শিকার হয়নি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণ মনে করে না যে তারা সরকার চালাতে পারবে। তারা জনগণের চিন্তা ভাবনা করে ভিন্ন মতে। আমি সেই রাজনৈতিক দলের নাম বলছি না। আমরা লড়াইটা করেছি গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য। সেটার জন্য তো আমরা নির্বাচনের কথা বলব। এটা তো আমাদের রাইট আছে। আমরা নির্বাচনের জন্যই এতদিন সংগ্রাম লড়াই করে আসছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *