ফেরানো গেল না অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানাকে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সীমানার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী।
সীমানার পরিবার জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন ১৪ দিনের মাথায় সীমানা মারা গেলেন। ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে দ্রুত ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে জানতে পারেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমানাকে ধানমন্ডির আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গেল কয়েকদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত শনিবার এই হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সীমানার শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত অবনতি হয়েছে। শুরুর দিকে তাকে আইসিইউতে রাখা হলেও বুধবার থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল বলে জানান সীমানার ভাই এজাজ বিন আলী। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সীমানা চলে যান না ফেরার দেশে।
২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা। এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করেন। দেখা গেছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত বহুল প্রশংসিত ছবি ‘দারুচিনি দ্বীপ’ এর মতো সিনেমাতেও।
তবে মাঝে ২০১৬ সাল থেকে বছর ছয়েক পারিবারিক কারণে কাজ থেকে বিরতিতে ছিলেন। বিরতি কাটিয়ে গত বছর কাজে ফিরেছিলেন বলে জানা যায়। নাটকের পাশাপাশি নতুন একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।
পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, সীমানার দুই ছেলে। বড় ছেলের বয়স ৮ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স তিন।
শেয়ার করুন