স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) করোনা পরবর্তী পাবলিক প্লেস যশোর শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম জনসভা।
জনসভাকে সাফল্য মন্ডিত করতে যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় এমপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন।
জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন- এই জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে যশোরসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে বিশাল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন- জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যশোরসহ আশপাশের এলাকার কোনও মানুষ ঘরে থাকবে না, তারা বৃহত্তর যশোরের উন্নয়নে রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কথা শুনতে আসবে।
যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসার খবরে এই এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে নানক বলেন, আগামীকাল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে পুরো শহর জনসভাস্থলে পরিণত হবে। জনসভায় ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। এই জনসভা থেকে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে আমরা জানিয়ে দিতে চাই- এই বাংলাদেশ হলো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বাংলাদেশ। সেই গর্জন যশোর থেকে শুরু হবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জঙ্গিরা তৎপর রয়েছে, তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে নিশ্চয়ই আমরা সর্বপ্রথম গুরুত্ব দিবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার বিষয়টি, তারপর গুরুত্ব পাবে জনসমাগমের বিষয়টি। এ জন্য আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।
খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগদানের সকল প্রস্তুত সম্পন্ন করেছেন। বৃহস্পতিবারের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। জনসভাকে ঘিরে এই এলাকার মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জনসভায় দেশের রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশের মানুষকে আগামীতে কীভাবে পরিচালনা করবেন, দেশকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং এই বিষয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এই জনসভা থেকে দেশবাসীর কাছে একটি বার্তা যাবে উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের রাজনীতিতে যারা দুষ্টচক্র, সাম্প্রদায়িক শক্তি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, যারা রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করতে তৎপর এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষে কাছে একটি বার্তা যাবে। সেটা হলো—দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে এবং নৌকার পক্ষে। তারা সন্ত্রাসের বিপক্ষে, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, যশোর জেলা আওয়ামী লগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।
কয়েকটি বিশেষ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকালের জনসভার তাৎপর্য রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানের বিশাল জনসমক্ষে ভাষণ দিয়ে ছিলেন ঠিক সেই একই স্থানের জনসভায় তিনিও ভাষণ দিবেন, করোনা পরবর্তী এই প্রথম জনসভা যে সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনের জন্য দিক নির্দশনামূলক কথা বলতে পারেন ও বর্তমান সরকারের মেয়াদে দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পদ্মা,কালনাসহ ছয় লেনের রাস্তা হওয়ায় যোগাযোগের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।