ইরান ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের ওপরে কিংবা তার স্বার্থের বিরুদ্ধে আর কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে তাহলে আরও শক্তিশালী জবাব দেয়া হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি সোমবার (২২ এপ্রিল) সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। খবর তেহরান টাইমস ও পার্স টুডের।
নাসের কানয়ানি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আমাদের কূটনৈতিক স্থাপনায় যে আগ্রাসন চালিয়েছিল তার বৈধ এবং চরম জবাব দিয়েছি। আবার যদি ইসরায়েল কোনো ধরনের ভুল করে তাহলে ইরানের জবাব হবে আরো বেশি কঠোর।’
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি, তার ডেপুটি জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ আরও পাঁচজন সহকারী অফিসার নিহত হন।
এর প্রতিশোধ হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সিরিজ হামলা চালায় ইরান। ‘অপারেশন ট্রুথফুল প্রমিজ’ নামের প্রতিশোধমূলক এ হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জুড়ে অবস্থিত ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি তেহরানের।
এদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে ওই প্রতিশোধমূলক হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে তাকে আগ্রাসীদের জন্য পুরস্কার বলে উল্লেখ করেন নাসের কানয়ানি। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ইরান তার বৈধ অধিকার হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, আর তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে- এটি বিস্ময়কর ব্যাপার। অথচ গাজায় অবর্ণনীয় বর্বরতা চালালেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা তার বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মনে করিয়ে দেন যে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান তার বিরুদ্ধে পূর্ব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এগিয়ে গেছে। ‘নিষেধাজ্ঞা নীতি একটি ব্যর্থ নীতি’ অ্যাখা দিয়ে নাসের কানয়ানি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার’ আহ্বান জানান।
শেয়ার করুন