২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে শুরু। দেশকে সমর্থন জানাতে এরপর সবখানেই পৌঁছে গেছেন প্রাক্তন ‘মিস ক্রোয়েশিয়া’ খ্যাত আবেদনময়ী মডেল ইভানা নল। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে তার উপস্থিতি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
সেই বিশ্বকাপে দলকে সমর্থন দিতে প্রতি ম্যাচে উষ্ণতা ছড়িয়ে ক্রোয়েশিয়ার ‘সেক্সিয়েস্ট চিয়ারলিডার’ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের উপাধিও জুটিয়ে নিয়েছেন এই তারকা মুখ। স্বল্পবসনা এই আবেদনময়ী ২০১৮ সালে ‘হটেস্ট ফুটবল ফ্যান’ এর স্বীকৃতি নিজের করে নেন!
এবারের কাতার বিশ্বকাপেও হয়নি ব্যতিক্রম। নিজের দলকে সমর্থন জানাতে প্রথম ম্যাচ থেকেই ছিলেন মাঠে। ক্রোয়েশিয়া-মরক্কো ম্যাচে গ্যালারি আলো করে এন্ট্রি নেন। প্রথম দিন কাতারের বিধিনিষেধ মেনেই শরীর ঢাকা পোশাক পরেছিলেন তিনি। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই আলোচনায় আসতে শুরু করেন ইভানা নল।
মূলত রক্ষণশীল দেশ হওয়ায় পোশাক নিয়ে আগে থেকেই নানা বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে দিয়েছিলো আয়োজক দেশ। ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ইভানা নল তার স্বভাবসুলভ পোশাক পরলে বিপত্তির মুখে পড়েন।
এমনকি কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে গিয়ে ‘পোশাকবিধি’ না মানায় গ্রেপ্তারের ঝুঁকি তৈরী হয় ইভানার। অন্তত এমন খবরই শুরুতে দিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। যদিও সমালোচিত হওয়ার প্রথম দিন থেকেই ইভানা বলে আসছেন, পোশাকের কারণে গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে তিনি ভীত নন।
বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শকদের মার্জিত পোশাক পরার পরামর্শ দিয়ে আসছিলো কাতারের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে নারী ফুটবলভক্তদের খোলামেলা পোশাক পরা নিয়েই ছিলো কড়াকড়ি। কিন্তু শুরু থেকেই রক্ষণশীল কাতারকে রীতিমত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসছেন প্রাক্তন ‘মিস ক্রোয়েশিয়া’।
তবে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পোশাকনীতির কারণেই একটু বিপত্তির মুখে পড়তে হয় এই মডেলকে। এদিন রাতে ছিলো ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। খেলা শুরুর সময়েই কাতার স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীরা আপত্তি তুলেন ইভানার পোশাক নিয়ে।
বিদেশি গণমাধ্যমকে এদিন রাতে নিরাপত্তারক্ষীরা দাবি করেন, ব্রাজিলের সঙ্গে ম্যাচের দিন ইভানা সমস্ত মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন!
এদিন ইভানাকে একটি লাল অন্তর্বাস এবং গায়ের সঙ্গে এঁটে লেগে থাকা লাল-সাদা প্যান্ট পরে আসতে দেখা যায়। সেই পোশাকে ছিল ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় পতাকার চিহ্ন। বেশ কয়েকটি ছবি তিনি ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট করেন। খেলা চলাকালীন বার বার স্টেডিয়াম থেকে নেমে নীচের দিকেও চলে আসছিলেন তিনি।
এসময় নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ইভানাকে যথাযথ পোশাক পরে খেলা দেখতে বলেন! পাশাপাশি নিজের আসন থেকে উঠে না আসারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইভানাকে মাঠ থেকে নাকি বেরিয়ে যেতেও বলা হয়। তবে সেসময় ক্রোয়েশিয়ার দর্শকের সমন্বিত প্রতিবাদের কারণে নিরাপত্তারক্ষীরা ইভানার সাথে পেরে উঠেননি।
শেয়ার করুন