গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই হামলায় অবরুদ্ধ এলাকায় নতুন আক্রমণের ফলে জীবন্ত দগ্ধ হচ্ছে শিশুরা।
মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতদের মধ্যে অনেকেই গাজা উপত্যকার বাড়ি, শরণার্থী শিবির এবং স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছেন। ফিলিস্তিনি মিডিয়া চিকিৎসকদরে বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা WAFA জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহে একটি বাড়িতে বোমা হামলার ফলে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে। খান ইউনিসের পূর্বে আল-মানারা এলাকায় একটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।
WAFA সূত্রে জানা যায়, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে একটি গ্যাস স্টেশনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা ১৫-এ পৌঁছেছে এবং গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে আল-জাইতুন এলাকায় আল-সিক্কা রাস্তায় আরও একজন নিহত হয়েছে।“ইসরায়েলি নৌকাগুলি গাজা উপত্যকার উত্তর বেইত লাহিয়ায় বেসামরিক বাড়ির দিকে গুলি চালাচ্ছে,” সংবাদ সংস্থাটি যোগ করেছে।
স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের আল-দারাজ এলাকায় মুসা বিন নুসায়র স্কুলে বোমা হামলা চালায়, এতে ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০ জনেরও বেশি আহত হয়।
নিহতদের মধ্যে দুটি বাস্তুচ্যুত পরিবারের সদস্য ছিল যারা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল।‘নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু ছিল, যাদের দেহ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গিয়েছিল, এবং তিনজন নারী, যাদের মধ্যে দুজন গর্ভবতী,’ রিপোর্টে বলা হয়েছে। ‘সাক্ষীরা সন্দেহ করছেন যে ইসরায়েল নতুন ধরনের গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে, যা মারাত্মক দগ্ধ এবং ব্যাপক ধ্বংসের কারণ হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ মিডিয়া জানিয়েছে, খান ইউনিস এবং রাফাহে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে, এবং একটি ড্রোন দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অজ্ঞাত সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শেয়ার করুন