আসন্ন ঈদ উল আযহায় বকেয়া বেতনসহ ইদ বোনাস প্রদানের দাবিতে দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশহিসেবে গতকাল (১১জুন) বিকাল ৫ টায় সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে জেলা কমিটির সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক রাশেদ আহমেদ এর পরিচালনায় সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মনির হোসেন, কোষাদক্ষ্য মহিদুল ইসলাম, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি শাহিন মিয়াপ্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন আসছে পবিত্র উৎসব ঈদ উল আযহা। দেশের মুসলমান সম্প্রদায় ঈদ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেও হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকরা সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর ঈদ আসলে বোনাসের জন্য মিছিল-মিটিং, মালিকদের নিকট ধর্ণা দিতে হয়। কিন্তু বছরে দুইটি উৎসব বোনাস শ্রমিকদের আইনি প্রাপ্য অধিকার। বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬(অদ্যাবধি সংশোধিত)এর ধারা ২(২ক) এবং বাংলাদেশ শ্রমবিধি-২০১৫ এর বিধি-১১১(৫) অনুযায়ী সকল শ্রমিককে উৎসব বোনাস প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ ও মানবাধিকারের দিক থেকে শ্রমিকদের উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত করা অমানবিক। শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে মালিকপক্ষ মহাধুমধামে ঈদ উৎসব উদযাপন করলেও শ্রমিকদের ঈদের ন্যায্য উৎসব বোনাস হতে বঞ্চিত করা হয়। শ্রমিকদের এই অসহায়ত্বের কথা বলার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে রাজপথ। সকল প্রকার আইনি পাওনা আদায়ের শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। তাই বক্তারা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান।
বক্তারা আরোও বলেন বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই।