ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘বিশেষ একটি দল নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। তবে সংস্কারের আগে কোনও নির্বাচন দেওয়া হলে সেই নির্বাচন ব্যর্থ হবে। মানুষ আবারও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। কাজেই সংস্কার শেষে সঠিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে, তার আগে নয়। এদেশে আর কোনও ফ্যাসিবাদকে জায়গা দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে রাষ্ট্র সংস্কার বেশি জরুরি। সংস্কার শেষ করে কালোটাকা ও পেশিশক্তিমুক্ত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। গতানুগতিক নির্বাচন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে আবার প্রতিষ্ঠা করার কোনও মানে হয় না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর ভোট এক বাক্সে পড়বে। এরপর ইসলামিক সরকার গঠন হবে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘আমি চাই না, আওয়ামী লীগ করার কারণে আর কেউ গ্রেফতার হোক। আমি চাই, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তবে তার শাস্তি হোক। তাকেই শুধু গ্রেফতার করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমানিত করা হচ্ছে। কাদের কারণে অপমান করা হচ্ছে। এর দায় কে নেবে? আমরা মনে করি এর দায় তার মেয়ে শেখ হাসিনাকে নিতে হবে। তার দলের মানুষগুলোকে তিনি ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারেননি। দলের নেতারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুন্ডা বানিয়েছেন। এজন্য দলের সব নেতার দোষ, অন্য কারও দোষ নয়। শেখ হাসিনার বাসার পিয়ন ৫০০ কোটি টাকার মালিক। এই টাকা সে কোথায় পেয়েছে? সব তো সাধারণ মানুষের টাকা। দেশের মানুষের টাকা মেরে কোটিপতি হয়েছে। ঠিক এভাবে আওয়ামী লীগ দেশটাকে লুটপাট করে গেছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা তসলিম হোসাইন সিকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ মারুফ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং দলের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি মুফতি দিদারুল ইসলাম মুফতি ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম শেখ।