গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পরে থেকেই তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও নাম সরিয়ে নিয়েছেন এই টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। তবে বিপিএলের দশম আসরে দুর্দান্ত পারফরম করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক এবং টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন তামিম।
শুক্রবার (১ মার্চ) কুমিল্লার বিপক্ষে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল তামিমের ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে ১৫৫ রানের সহজ লক্ষ্য পায় তামিম-মিরাজরা। জবাব দিতে
এবারের আসরে শুরু কয়েকে ম্যাচ খারাপ খেললেও পরের ম্যাচ গুলোতে পারফর্ম করে দলকে ফাইনালে তুলেছে তামিম ইকবাল।
সেই সঙ্গে আসরের সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। ১৫ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৪৯২ রান করেছেন দেশ সেরা এই ব্যাটার। অন্যদিকে, হৃদয় এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮.৫০ গড় এবং ১৪৯.৫১ স্ট্রাইকরেট নিয়ে ৪৬২ রান করেছেন।
ফাইনাল ম্যাচে ১৫৫ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ বলে ৩৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই ইনিংসে ভর করে বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ সহজ হয়।
একইসঙ্গে বিপিএলের এক আসরে নিজের করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও টপকে গেছেন তামিম। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তিনি করেছিলেন ৪৭৬ রান। এরপর ২০১৯ বিপিএলে কুমিল্লার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৪৬৭ রান।
এক মৌসুমে বিপিএলে দেশীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানে তামিমের এ দুই স্কোর রয়েছে ৩ ও ৪ নম্বরে। এবার তিনি সেই দুটিই টপকে গেছেন। সবমিলিয়ে দেশীয়দের মধ্যে এক আসরে তার রান তৃতীয়।
২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই নিয়মিত খেলেছেন তামিম। ১০ আসরে আটটি ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা তার হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে দুই সেঞ্চুরির কীর্তিও তিনি গড়ে ফেলেছেন। একবার সেঞ্চুরি করেছেন ফাইনালের মঞ্চেই। ২০১৯ বিপিএলের ফাইনালে তার ১৪১ রানের ইনিংস এখনও বিপিএলে দেশীয়দের মাঝে সর্বোচ্চ।
তবে দেশীয়দের মধ্যে সেরা রানসংগ্রহে এখনও শীর্ষে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার অফফর্মে কাটানো বাঁ-হাতি এই ওপেনার বিপিএলের নবম আসরে ৫১৬ রান করেছিলেন। ৪৯১ রান নিয়ে ওই তালিকার দুইয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমে তিনি দেশীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। ৩৬৭ রান নিয়ে এবারের আসরেও তিনি পাঁচ নম্বরে রয়েছেন।
শেয়ার করুন