এবার নৌকা নিয়ে লড়বেন সুলতান
সোহেল সানি
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচে অনাকাক্সিক্ষত চ্যুতিবিচ্যুতির ঘটনার সঙ্গে নামটি জড়িয়ে গেলেও আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধু অন্তপ্রাণ। রাজনীতিতে ‘ক্লিন ম্যান’ বলেও খ্যাতি রয়েছে তাঁর। ছাত্রনেতা থেকে জননেতা।
ডাকসু ভিপি থেকে সংসদ সদস্য। সেই সুলতান মনসুর ৭ জানুয়ারির ভোট নিয়ে আলাপচারিতায় কোনো রাখঢাক না রেখে বললেন, আবার নৌকায় চড়তে হবে, এ জন্য পেতে হবে দলীয় মনোনয়ন। আমি আশাবাদী, এবার দল আমাকে মনোনয়ন দেবে, আবার আমি নৌকা নিয়ে লড়ব। নৌকা না পেলে নির্বাচন করব না।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের নৌকায় চড়েই জাতীয় সংসদে অভিষেক হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মনসুর বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির নানা সমীকরণে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটগত লড়াইয়ে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হন। কিন্তু সংসদে নিজের ভূমিকা ছিল আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের মতো।
সংসদে তাঁর কথাবার্তা, বক্তৃতা-বিবৃতি, আচার-আচরণ, পোশাকপরিচ্ছদে পরিলক্ষিত হয় যেন মুজিব আদর্শের এক সৈনিক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের মতে, সুলতান মনসুর আহমেদ ধানের শীষের এমপি হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বের প্রতি ছিলেন অবিচল।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ খুব স্পষ্ট করে বললেন, ‘আমি ভীষণ আশাবাদী। এবার নৌকা আমিই পাব’। তিনি এও বললেন, নৌকা মার্কা ছাড়া নির্বাচন করবেন না।
সূত্রমতে, একাদশ সংসদের সমাপনী অধিবেশনের শেষ বৈঠকের ফাঁকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁর সাবেক কর্মী সুলতান মনসুর। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছেন তিনি।
১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নির্বাচিত হন ডাকসুর ভিপি। স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর আদর্শেও কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের এটি ছিল প্রথম বিজয়। তাঁর নেতৃত্বে নানা প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে ডাকসু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উত্তোলিত হয়।
শেয়ার করুন