নিজেদের সম্পদের তথ্য উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়েছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীরা।
হলফনামা দেখে জানা যায়, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন লিটনের ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ মাত্র এক হাজার। জামাল হোসেন লিটন চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
এদিকে হবিগঞ্জ-৩ আসনে ১১ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা নিয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন আরেক সাংবাদিক এমএ ওয়াহেদ। তিনি হবিগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
হলফনামা অনুযায়ী দাখিল পাস করা এ প্রার্থীর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ১০ হাজার, ঘরে এক লাখ ২৫ হাজার টাকার জিনিসপত্র এবং চারজনের অংশীদারে চার শতাংশ জমিতে একটি বাড়ি দেখিয়েছেন তিনি। তবে বাৎসরিক কোনো ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেননি এ প্রার্থী।
এদিকে জামাল হোসেন লিটন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন এক লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংকে নগদ টাকা ৯৯ হাজার এবং ব্যাংকে জমা রয়েছে এক হাজার টাকা। যৌথ বা এককভাবে কোনো সম্পত্তি নেই তার।
নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামাল হোসেন লিটনের জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকায় ত্রুটি রয়েছে। তাই তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে তার আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
শেয়ার করুন