জাকির হোসেন, বরিশাল প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে উপজেলাবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এবং কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান রুবেল।
জানা গেছে, কচুয়া টু বেতাগী ফেরি স্থাপনে মূখ্য ভূমিকা, কাঠালিয়া লঞ্চঘাটে বড় পন্টুন স্থাপন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিশেষ বরাদ্দ, শারীরিক অক্ষম এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার বিতরণ, শাড়ি কাপড় সহ শীত বস্র প্রদান, পাকা রাস্তা নির্মান, কাঠালিয়া উপজেলার কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পাস ও কচুয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক, রাজাপুরের গালুয়া পশ্চিম দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুল এবং শৌলজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাশরুম টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে পাস করিয়েছেন কচুয়ার কৃতি সন্তান আতিক রুবেল।
কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও নিজ জন্মভুমির টানে এলাকার উন্নয়নে মূখ্য ভূমিকা রেখে চলছেন মানবিক যুবক আতিক রুবেল।
তথ্য ও ডকুমেন্ট থেকে জানা যায়, দুই বছর আগে এক যোগে কাঠালিয়া উপজেলার বাষোট্টি টি প্রাথমিক স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল এবং রাজাপুর উপজেলার ছাপ্পান্নোটি, ঝালকাঠি সদর উপজেলার উনষাট এবং নলছিটি উপজেলার একান্নটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল এবং কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের নতুন ভবন গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কে অনুরোধ করে একযোগে পাস করিছেন আতিকুর রহমান রুবেল। কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদী তীরে বেরীবাধ না থাকায় উপজেলা পরিষদ মাঠ পানিতে সয়লাব হয়ে যায় বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়ায় দেখে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবরে আবেদন করেন সে প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পএ জারি হয়। ইতিমধ্যে উপজেলার আওড়াবুনিয়া লঞ্চঘাট থেকে সাড়ে তিনশত মিটার জিওব্যাগ দিয়ে ইমারজেন্সি কাজ শুরু হয়েছে।
শৌলজালিয়ার সোনারবাংলা বাজার রক্ষার্থেও একশত মিটার জায়গা জিওব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সমাজসেবক রুবেল কচুয়া হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের মাঠ রক্ষার্থে দুই শত পচিশ মিটার জিওব্যাগ দিয়ে ব্লক কাজ পাস করিয়েছেন যাহা অনেক আগেই কাজ বাস্তবায়ন হওয়াতে দুটি স্কুলের মাঠ রক্ষা পেয়েছে এবং স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
শৌলজালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কচুয়া হাইস্কুল, আওড়াবুনিয়া মডেল হাইস্কুল, সবুরেন্সনেসা বালিকা বিদ্যালয় সূএ থেকে জানা যায়, আতিক রুবেল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তদবির করে সরকারি বই পাস করিয়ে দিছেন।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে কাঠালিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও কচুয়া হাইস্কুল এর মাঠ সংস্কারের জন্য গেল জুন মাসে অর্থ বরাদ্দ করিয়েছেন।
শৌলজালিয়া হক্কোননূর দরবার বাউল শিল্পী গোষ্ঠী জন্য অর্থ পাস এবং কচুয়া হাই ও প্রাথমিক স্কুলের জন্য হারমোনিয়াম, তবলা ক্রয়ের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নিকট থেকে অনুদান পাস করিয়ে এনেছেন তিনি।
কচুয়া টু শৌলজালিয়া খেয়াঘাট সড়ক টি এিশ বছর যাবত অবহেলিত।এ রাস্তাটি আতিক রুবেল কার্পেটিং পাস করিয়েছেন গেল মাসে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন হয়েছে।
চলছি বছরে বয়স্ক শারিরীক অক্ষম ও প্রতিবন্ধি বিশজন ব্যক্তি কে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় থেকে হুইল চেয়ার পাস করিয়ে বিতরন করেছেন এপিএস আতিকুর রহমান রুবেল।
যেখানে যে সমস্যা আছে সকল বিষয়ে তিনি দৌড়ঝাঁপ করেন সমস্যা সমাধানে। বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন আতিকুর রহমান রুবেল, তার এই উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে উপজেলাবাসীর মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি যেসব উন্নয়নে চেস্টা করেন এবং বাস্তবায়ন করেন তা সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে পোস্ট করেন সেই ডকুমেন্ট থেকে ও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগনের দেয়া তথ্য থেকে এসকল উন্নয়ন এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান উজির সিকদার এর কাছে জানতে চাইলে বলেন আতিক রুবেল এর মত লোক আরও তৈরী হোক এই কামনা করি। কচুয়া টু বেতাগী ফেরী উদ্বোধন কালে আলহাজ্ব আমু ভাই বক্তব্যের মধ্যে আতিক রুবেল এর নাম উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন এতেই বুজা যায় রুবেল এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। তরুন সমাজ সেবক রুবেল স্বার্থহীনভাবে কাঠালিয়া উপজেলার উন্নয়নে ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন। তার সফলতা কামনা করি।
জানতে চাইলে কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আমিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বর্তমান যুগে আতিক রুবেল এর মত মানুষ খুবই কম আছে। তিনি চাকুরী করার পাশাপাশি নিজ এলাকার উন্নয়ন যে ভূমিকা রেখে চলছেন তা স্মরন করার মত। তিনি অত্যন্ত সৎ ও আদর্শবান তরুন সমাজ সেবক।
এ বিষয়ে কাঠালিয়ার সাংবাদিক মাসুদুল আলম জানান, কোন অসহায় মানুষ এবং অনুন্নত রাস্তাঘাট ও স্কুল-কলেজের সন্ধান পেলে রুবেল ভাই সাধ্যমত চেষ্টা করে কাজ করানোর জন্য। তার এই কাজে এলাকাবাসী অনেক খুশি।
এ বিষয়ে এপিএস আতিক রুবেল বলেন, আমি চেষ্টা করি উপজেলার উন্নয়ন মূলক কাজ করার জন্য। যতদিন বেঁচে থাকব সাধ্যমত জন্মভুমির উন্নয়নে কাজ করে যাব।
শেয়ার করুন