মোঃ রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় টানা দুই মাস পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় ২০ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী কর্মসূচির আয়োজন করে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামের হযরত বিলাল (রা:) জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি । নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ২০ কিশোরের মধ্যে ৩ জনকে বাইসাইকেল ও ২ জনকে টেবিল ফ্যানসহ বাকিদের বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী ) দুপুরে মনসুর হযরত বিলাল (রা:) জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ওই কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় মসজিদ কমিটির সদস্যরা ও অতিথিবৃন্দরা । শিশু-কিশোরদের মুঠোফোন আসক্তি কমিয়ে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানান আয়োজকরা। সাংবাদিক মহি উদ্দিন রিপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, খতিব মুফতি আশরাফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল মুহিত বাবলু, খতিব আব্দুল মুতাকাব্বির,
পৃষ্টপোষক মুহিবুর রহমান জাবেদ,
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি আব্দুস শহীদ ফারুক, পারভেজ আহমদ, হারুন মিয়া, প্রবাসী ময়ুব আলী, আজাদ মিয়া, মাসুক আহমদ প্রমুখ ।
আয়োজক কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান জাবেদ জানান, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত টানা ৬০ দিন নামাজ আদায়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়। কর্মসূচিতে ২০ জন কিশোর অংশ নেয়। প্রত্যেকেই টানা ৬০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রথম তিনজকে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
আয়োজক কমিটির পৃষ্টপোষক আব্দুল মুহিত বাবলু বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন। আমরা শিশু-কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
বাইসাইকেল পুরস্কার পাওয়া কিশোর মারোয়ানুর রহমান বলেন, টানা ৬০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শুধু পুরস্কার পাওয়ার আশায় নয়, মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। জীবনের বাকি সময় যেন জামাতে নামাজ পড়তে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম বলেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করি। নামাজ খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে সহায়তা করে। আমি এলাকার সকল ভালো কাজের সাথে সব সময় থাকবো।
শেয়ার করুন