কুলাউড়ায় নয়াবাজার কে সি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

মৌলভীবাজার

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নয়াবাজার কে,সি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রভাত চন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজীপুরের ছাত্ররা। অভিযোগে তারা উল্লেখ করে বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছেন ওই অধ্যক্ষ, বিগত দিনে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় স্থানীয় ও উপজেলার কয়েকজন নেতাকে নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে অধ্যক্ষের পছন্দের লোককে সভাপতি করে বিভিন্ন সময় মনগড়া হিসেব নিকেশ দিয়ে ছিলেন । এমনকি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও অধ্যক্ষের পকেটে চলে যাওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের বক্তব্যে বেরিয়ে আসে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম । এলাকাবাসীর পক্ষে ছাত্র আন্দোলনের জয়নুল ইসলাম ও নাজমুল বলেন , নয়াবাজার কে সি উচ্চ বিদ্যালয়টি হলো আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত। তিনি মন গড়া পকেট কমিটি বানিয়ে নিয়োগ বানিজ্য সহ অতিরিক্ত বেতন, পরীক্ষা ফি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। দিন দিন তার সেচ্ছাচারীতায় ধ্বংস হতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি এলাকাবাসীর। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা নেয়া বিভিন্ন বরাদ্দ ও আত্নস্বাৎ করাসহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে আমরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি যার অনুলিপি কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে। আমরা চাই অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতির ও অর্থ আত্মসাৎসহ প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রভাত চন্দ্র শর্মার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মো: মহি উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে জেনেছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *