স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিশ্বনাথে ‘গল্পে ছন্দে আমার বইয়ের’ মোড়ক উম্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ হলরুমে নরসিংহপুর সাজ্জাদুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কবি, লেখক হোসনেআরা বেগমের লেখা ‘গল্পে ছন্দে আমার বইয়ের’ মোড়ক উম্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্তকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সুহেল রানা।
দশঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলা উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিলেট ল’ কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন মোহাম্মদ ফরহাদের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গল্পে ছন্দে আমার বইয়ের লেখক ও নরসিংপুর সাজ্জাদুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনেআরা বেগম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মো. আজমত উল্লা খান, এসো শিখি প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর শেখ গোলাম মওলা, মনিটরিং অফিসার প্রিয়াংকা চৌধুরী, আল-এমদাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌছ আলী, বাহাড়া দুভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করুনা কান্ত দাশ, জানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিল্পী পাল, শ্বাসরাম রহমান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিলি দে। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপজেলা বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বইয়ের লেখক হোসনেআরা বেগম বলেন, গল্পে ছন্দে আমার বই গ্রন্থটি শিশুদের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি শ্রবন ও চিরন্তন দক্ষতার সুষ্টু বিকাশ সাধনে গল্পের মৌলিক ধারণা শিক্ষার্থীদের কাছে রসাত্মবোধক শিখনপাঠ্য উপস্থাপনের প্রয়াসেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা। শিশুরা গদ্যের চেয়ে পদ্যাংশের কোনও কোনও পংক্তি আজীবন হৃদয়ে যতেœ লালন করে এ বাসনাকে সামনে রেখে আমার এ উপস্থাপনা। গল্পের পাঠ্যভাসে শিক্ষার্থীর আগ্রহ কৌতুহল ও মনযোগ বৃদ্ধি নিমিত্তে এ গদ্যাংশকে ছন্দে আনন্দময় ও আকর্ষনীয় করে পাঠের সারাংশটুকু কোমলমননে গাঁথুনি দিয়ে শিখন প্রক্রিয়া স্থায়ী কল্পে এই কাব্যরুপ। ইতিহাস ও বিভিন্ন ব্যক্তির নাম অক্ষুন্ন রাখতে তাল লয়ের হেরফের হলেও পাঠের কোনও রুপ ব্যঘাত ঘটেনি। গল্পের ভাব ও দর্শনের কোনও ক্রুটি না হয় সেদিকে যথাসাধ্য খেয়াল রেখে উপস্থাপনের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত ছিল। এ গ্রন্থটি পাঠাংশের শিখনকে ছন্দে ছন্দে প্রাণবন্ত এবং তরান্বিত করবে বলে আমি দৃঢ প্রত্যয়ী। শিশু আত্মার নান্দনিক বিকাশে আমার এ ছন্দ গাঁথা একটি পংক্তিমালা যদি শৈল্পিক সুখপাঠ্য শিখন হয় তবেই আমার এ প্রয়াস সফল ও সার্থক বলে মনে আমি মনে করব।
শেয়ার করুন