বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশস্থল গোলাপবাগ মাঠ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ভরতে শুরু করে। শনিবার বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরুর আগে ভোর থেকেই মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন দলটির নেতা-কর্মীরা, যাদের মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
সমাবেশস্থল নিয়ে পুলিশের অনুমতির পর শুক্রবার বিকেল থেকেই গোলাপবাগে জমায়েত শুরু হয়। আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
সকাল সাতটার দিকে রাজশাহী যুবদলের ব্যানারে একটি মিছিল স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলে থাকা যুবদলকর্মী আশিক মিয়া বলেন, ‘আসছি দেড় হাজার মানুষ, কিন্তু একসঙ্গে শান্তি করে আসতে পারি নাই। মিনিমাম ধরেন ১৬/১৭টা গ্রুপে ভাগ হইয়া তারপরে আসছি। তাও তো এখানে আটকায়, ওইখানে আটকায়।’
আশিক বলেন, ‘আমাদের একটা গ্রুপ যাত্রাবাড়ী পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে পড়ছে। তাদের তল্লাশির নামে সেখানে দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।’
সমাবেশে আসার পথে বাধার মুখে পড়ার এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী
পুলিশের বাধা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ বিভিন্ন কৌশলে ঢাকায় আসার কথা জানিয়েছেন। তারা অ্যাম্বুলেন্সে রোগী সেজে, সবজি, মুরগির ভ্যানে, মালামাল আনা নেয়া করা কাভার্ড ভ্যানে করে ঢাকায় পৌঁছে নানা কৌশলে সমাবেশস্থলে আসার কথা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা রিফাত হোসেন নামের এক বিএনপিকর্মী বলেন, ‘বুক ধড়ফড় করতেছিল। আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলাম যেন আমাকে সমাবেশস্থল পর্যন্ত আসার সুযোগ করে দেয়।
‘চার দিন আগে ঢাকায় এসে পুলিশের ধরপাকড় থেকে নিজেরে বাঁচাায়া রাখা আর এত তল্লাশি, চেকপোস্ট! সুযোগ পেলেই প্যান্টের পেছনে হাত দিয়ে ভ্যানে তুলে দেয়। এমন অবস্থায় সমাবেশস্থল পর্যন্ত আসা একটা বিরাট যুদ্ধ জয় করার মতো।’
সমাবেশে আসা অনেক নেতা-কর্মী বর্ণিল টি-শার্ট পরেন। তাদের মুখে ছিল ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’, ‘তারেক রহমানের মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, সংগ্রামী মহাসচিবের মুক্তি চাই’, ‘সবার ভাই আব্বাস ভাইয়ের মুক্তি চাই’ স্লোগান।
শেয়ার করুন