ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইসলামবিষয়ক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য কাতারে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারতের বিশিষ্ট ধর্মীয় আলোচক জাকির নায়েককে। এ কারণে ভারতীয়দের বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র স্যাভিও রদরিগেজ।
স্যাভিও রদরিগেজ বলছেন, বিশ্বকাপ একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ। সারা দুনিয়ার মানুষ এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্মে জাকির নায়েককে বক্তৃতার সুযোগ দেওয়ার অর্থ হলো তাঁর ঘৃণা ছড়ানোর আদর্শকে সমর্থন করা।
বিজেপি মুখপাত্র আরও বলেছেন, ভারত সরকার, ভারতের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সকলে যেন এই মেগা টুর্নামেন্ট বয়কট করেন। বিশ্বকাপ দেখতে যারা কাতারে যাচ্ছেন, তারাও যেন খেলা না দেখেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব লড়াই করছে। সেই লড়াইকে সমর্থন করেই বিশ্বকাপ দেখা উচিত নয়। কারণ এই মঞ্চে জাকির নায়েকের মতো ব্যক্তিকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
স্যাভিওর মতে, প্রত্যক্ষভাবে কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজে যুক্ত না থাকলেও সন্ত্রাস ছড়াতে জাকিরের ভূমিকা রয়েছে।
একটি বিবৃতিতে রদরিগেজ বলেন, এমন এক সময়ে জাকির নায়েককে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হলো যখন বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
ফিফা বিশ্বকাপ একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠান। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ এই দর্শনীয় খেলার সাক্ষী হতে আসেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ টিভি ও ইন্টারনেটে এটি দেখে। জাকির নায়েককে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া, এমন সময়ে যখন বিশ্ব বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যোগ করেন বিজেপি নেতা।
এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদের শিকার দেশের জনগণ ও বিদেশীদের কাছে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে’ বিশ্বকাপ বয়কট করার জন্য আবেদন করেন রদরিগেজ।
বিজেপি নেতা রদরিগেজ বলেন, জাকির নায়েক ভারতীয় আইনে একজন ওয়ান্টেড ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অপরাধ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। তিনি একজন সন্ত্রাসী সহানুভূতিশীল ব্যক্তি। আসলে তিনি নিজেও একজন সন্ত্রাসীর চেয়ে কম নন। তিনি প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করেছেন এবং ভারতে ইসলামিক উগ্রবাদ ও ঘৃণা ছড়াতে ভূমিকা রেখেছেন।
উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ের মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা ডংগ্রিতে ১৯৬৫ সালে এক চিকিৎসক পরিবারে জন্ম জাকির নায়েকের। বর্তমানে তিনি বিশ্বব্যাপী আলোচিত একজন ধর্মীয় আলোচক।