
জুলাই যোদ্ধাদের টাকা হাতিয়ে নিতে সাংবাদিক নাজমুলের কারসাজি।
জানা যায়, কুলাউড়ায় জুলাই যোদ্ধা এককালীন প্রণোদনা এক লক্ষ করে ২৮ জন ২৮ লক্ষ টাকা পান। তারই সূত্র ধরে এনসিপি নেতা ইব্রাহীম মাহমুদের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুলাউড়ার গেজেটেড সকল আহতদের নিয়ে ২৯ জুন এডিএম তানভীর হোসেন এর সভাপতিত্বে একটি শুনানী বোর্ডের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করেন। এসময় কুলাউড়ার গেজেটেড ২৮ জনই মৌখিক এবং লিখিত স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুনানি বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল এর আপন বোন আহত আইরিন আক্তার জুলি উনার স্বীকারোক্তিতে বলেন, তিনি ১৮’জুলাই কুলাউড়ায় পুলিশের লাটির আঘাতে চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন।
আবার, লিখিত স্বীকারোক্তি বক্তব্যে তার ভাই সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল লিখে দেন জুলির পক্ষে যে, ৪’আগষ্ট মিছিল করতে যেয়ে সে পড়ে গিয়ে আহত হয়। উল্লেখ্য, লিখিত বক্তব্য আহত ব্যক্তি নিজেই লেখার কথা ছিল।
আবার, প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে গিয়ে আইরিন আক্তার জুলি ১৮’ই অক্টোবরের প্রেসক্রিপশন উত্থাপন করেন। যা আন্দোলনের দুই মাস পর এবং তখন আহতদের তালিকা সংগ্রহের কার্যক্রমও চলমান ছিল।
জানা যায় উক্ত প্রেসক্রিপশনে থাকা ডাক্তারের নামে আরো কয়েকটি প্রেসক্রিপশন দিয়ে মিথ্যা ডকুমেন্টস দিয়ে কয়েকজন জুলাই যোদ্ধাদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
কুলাউড়ার সচেতন মহল জানান, সাংবাদিকরা জাতির দর্পন হয়ে কিভাবে এতো মিথ্যা তথ্যে জুলাই যোদ্ধাদের অধিকার হরণ করছেন। এটা লজ্জাকর বিষয়।
শেয়ার করুন