মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের জন্য মাঠে নেমেছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড।
একমাত্র দল হিসেবে দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে উইন্ডিজদের পাশে এ আসরে নাম লেখানোর সুযোগ আছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড দুই দলেরই। কারণ দুই দলই এর আগে একবার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শ্রীলঙ্কাকে ২০০৯ সালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল শহীদ আফ্রিদির দল। এর পরের বছরই অর্থাৎ ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। ফলে এদিন যে দলই জিতবে, তারাই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে।
এবারের পারফর্মেন্স দেখে অনেকেই ইংল্যান্ডের ওপর বাজি ধরবে। গত এক বছর ধরে বাটলার, মালানরা যেভাবে টি-টোয়েন্টি খেলে যাচ্ছে তাতে জয়ের পাল্লাটা তাদের দিকেই ঝুঁকছে। তার ওপর বিশ্বকাপের আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে এসেছে ইংলিশরা। কিন্তু পাকিস্তানকে নিয়ে কিছুই বলা যায় না। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যারা বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের অপেক্ষায় ছিল, তারাই এখন ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ।
ফাইনালের আগে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে ’৯২ প্রসঙ্গ। অনেকটা একই প্রেক্ষাপটে ’৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। এবারো কি তার পুনরাবৃত্তি হবে?
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহীন আফ্রিদি।
ইংল্যান্ড একাদশ
জস বাটলার (অধিনায়ক), অ্যালেক্স হেলস, ফিলিপ সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, স্যাম কুরান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ।