ডিসি অফিসে চাকুরির পলোভন দেখিয়ে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার সিংহখালী  গ্রামের মৃত ফরমান আলীর পুত্র এমাদুল হক গাজীর হাতে প্রতারনার শিকার একই এলাকার ভান্ডারিয়া গ্রামের মৃত মন্টু মিয়ার পুত্র মেহেদি হাসান।এনিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর,২০২২ ইং ভান্ডারিয়া থানায় এমাদুল গাজী,তার স্ত্রী ও ভাইকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়,ডিসি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২০১৬ সালে মেহেদি হাসানের পিতা মৃত মন্টু মিয়ার কাছ থেকে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত এমাদুল হক গাজী। টাকা নেওয়ার সময় কথা হয়েছিল ৬ মাসের মধ্যে চাকুরি দেওয়া হবে, যার প্রমান সরুপ হিসেবে ১০০/- (একশত) টাকা মূল্য মানের ৩ টি স্ট্যাম্পে সোনালী ব্যাংক ভান্ডারিয়া উপজেলা শাখার হিসাব নং-১০০০১১৩৭৬ এর চেক নং-৫৯১৭৫২৬ সাক্ষর করেছে।স্ট্যাম্পে উল্লেখ রয়েছে ৬ মাসের মধ্যে চাকুরি দিতে ব্যর্থ হলে সকল টাকা দিতে বাধ্য থাকবে।অতঃপর ৬ মাস পার হয়ে গেলেও চাকুরী না দিয়ে সকল টাকা আত্মসাৎ করতে লাগলো।এরপর মেহেদি হাসান টাকা ফেরত চাইলে আজকাল দিবে   বলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে অভিযুক্ত এমাদুল হক।মেহেদি হাসান এলাকার কতিপয় গন্যমান্য লোকদের জানিয়ে তাহার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করতে থাকে,কিন্তু অভিযুক্ত আসামি দিবে দিচ্ছে বলে অযথা আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করতে থাকে।পরবর্তীতে গত ১৬ ডিসেম্বর,২০২২ইং বিকাল ৪ ঘটিকায় মেহেদি হাসান প্রতারক এমাদুল হক গাজীর বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে সে অস্বীকার করে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে টাকা দিবে না বলে হুমকি ধামকি দিয়ে বলে,  “টাকা নিয়েছি আর দিবো না,পারলে তর টাকা উদ্ধার করে নিস”

মেহেদি হাসান প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান,আমাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২০১৬ সাথে টাকা নেয়।গত অক্টোবর মাসে আমার বাবা মারা যান,যার আজ প্রায়৩ মাসও হয়েছে।
বর্তমান সময়কাল ২০২৩ সাল ঘটনার প্রায় ৭ বছর হয়ে গেলেও কোন পয়সা পাইনি এবং ঘটনার চূড়ান্ত কোন সমাধান পাওয়া যায়নি।সবথেকে কষ্টকর ও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আমার বাবার সাথে প্রতারনা করে টাকা নিয়েছে অভিযুক্ত প্রতারক এমাদুল হক গাজী।আমার বাবা আজ দুনিয়াতে নেই তিনি মৃত্যুবরন করেছেন, তিনি বেঁচে থাকতে এই হক হালাল টাকা উদ্ধারের জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন।জীবনের শেষ সময়টুকু পর্যন্ত শান্তিতে থাকতে পারেননি অনেক চিন্তিত ছিলেন প্রতিটি সময়, এই টাকার জন্য প্রতারক এমাদুলের আচরণে অনেক কষ্ট পেয়েছেন।আমি এই প্রতারকদের বিচার চাই,যাতে আমার নিরীহ মানুষ তাদের হাতে থেকে রক্ষা পায়।

পরিশেষে তিনি আরও বলেন, আমি একজন নিরীহ লোক আইনের প্রতি আমি এবং আমার পরিবার যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।প্রতারক এমাদুল গাজী মিথ্যা পলোভন দেখিয়ে আমাকে ঠকিয়েছে,আমার কাছে তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তাই আমরা এই প্রতারকের কাছ থেকে আমার টাকা উদ্ধার এবং এই প্রতারক চক্রকে সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে শাস্তির জন্য প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *