ঢামেকের সেই ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া কারাগারে

বাংলাদেশ

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৮ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় আসামি ২৮ সপ্তাহের গর্ভবতী উল্লেখ করে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন উভয়ই নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৭ নভেম্বর পাপিয়ার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন নুর আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর নুরে আলমের স্ত্রী টিউমারের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার সঙ্গে দেখা হলে তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন।

তিনি টিউমারের অপারেশন বাবদ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। তার পোষাক ও বাহ্যিক বেশ দেখে তাকে ডাক্তার মনে হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তাঁকে ২৮ হাজার টাকা দেন নুর আলম। এরপর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় স্বর্ণা তাকে ভর্তি করান। কিন্তু ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তার চিকিৎসা হয়নি।

ওইদিন তাদের কাছে আরো দুই হাজার টাকা নেওয়ার সময় ডিউটি ডাক্তার দেখে ফেলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী নুর আলম সব ঘটনা বলেন। তখন পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা কোনো ডাক্তার না বলে জানতে পারেন।

পরে স্বর্ণার প্রতারণা বুঝতে পেরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহবাগ থানার পুলিশ তাকে আটক করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *