দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ২০থেকে২৫ জনের কাছথেকে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত বছর মেসার্স মা এন্টার প্রাইজ এর মালিক নিলাদ্রী রায় রাজু প্রবাসে চলে যায়, তিনি দেশে থাকা কালীন সময় এই দোকানের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে ছিল কিশোর দে । ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেসার্স মা এন্টার প্রাইজ এর বর্তমান দায়িত্বে থাকা রাজীব রায় গণমাধ্যমকে বলেন, এই দোকানের মালিক নিলাদ্রী রায় রাজু এখন বিদেশে আছেন। তিনি দেশে থাকা কালীন এই দোকানের ম্যানেজার ছিল কিশোর দে।
কিন্তু আমার বন্ধু নিলাদ্রী রায় রাজু বিদেশ চলে যাবার আগে আমাকে এই দোকানের দায়িত্ব দিয়ে যায়। তারপর থেকে কিশোর দে আর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে না। এই ব্যবসায় আমি নতুন তাই কিশোরকে মাঝে মধ্যে আমাকে সাহায্য করতে বলেছিলাম সেই সুবাদে কিশোর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীর কাছে আমার পাউনা টাকা আদায় করে আমাকে দেয়নি। সেই সাথে তাকে ব্যাংকে এক ট্রাক পণ্যের জন্য চালান জমা দিতে টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু সে চালান জমা দেয়নি, এসব মিলিয়ে আমার প্রায় ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে কিশোর দে । আরেক ভুক্তভোগী অলক রায় গণমাধ্যমকে বলেন, কিশোর আমার বন্ধু ছিল। সে ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আমার জানা মতে রিপন রায় ১৫ লক্ষ টাকা ,অসীম রায় ৫ লক্ষ টাকা,নূর মিয়া ৫ লক্ষ টাকা,ইকবাল মিয়া ৩ লক্ষ টাকা, দিবাকর মুদক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,শংকর,আলামীনসহ এভাবে প্রায় ২০/২৫ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছেন সে। অন্য এদিকে প্রতারণার শিকার গহর তালুকদার বলেন, লাভের একটি অংশ দেওয়ার শর্তে কিশোর আমাদের তিন জনের কাছ থেকে চাল,গম কিনার কথা বলে ৪/৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসলে তাকে অনেক বিশ্বাস করতাম সে যে এমনটা করতে পারে তা কখনও ভাবতে পারিনি। সাবেক ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ মিয়া বলেন,সে ধান স্টক করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা নিয়েছে। সবার মতো আমিও ক্ষতিগ্রস্ত। কিশোর কোথায় আছে, আমার জানা নেই। তার ফোন নাম্বার বন্ধ। সে বাড়িতেও নেই। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ফরিদ মিয়া।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোক্তাদির হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
#দিপংকর বনিক দিপু
দিরাই,সুনামগঞ্জ
০১৯১৪৩০১৬০১