এম এইচ,শাহজাহান আকন্দ; দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে মহিলা ইউপি সদস্যের অনিয়াম জ্বালিয়াতির প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে আগুন লাগিয়ে আদালতে ঘর জ্বালানোর মামলা দায়ের করেছেন দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্যা হাজেরা বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তেগাংগা গ্রামের নিজ বসত ঘরে। তিনি সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় কে বা কাহারা বসত ঘরে আগুন লাগিয়েছে।
ইউপি সদস্যের অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর বক্তব্যে জানাযায়,
মহিলা ইউপি সদস্য নিজ ওয়ার্ড ও এলাকার গরিব অসহায়দের ঘর বাড়ি সহ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বহু মানুষের নিকট থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। এরই জের ধরে গ্রামের কয়েকজন প্রতিবাদী মানুষকে ফাঁসানোর জন্য ঘর সংলগ্ন বাহিরে খড়কটা দিয়ে আগুন লাগিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ইউপি সদস্যে ও তার স্বামীর চিৎকার শুনে বাড়ির আসপাশের লোকজন এসে আগুন নিভানো দেখতে পায়। ইউপি সদস্যের মেয়ে রেহানা বেগম বলেন, আমরা দুই বোন একঘরে আর আমার মা বাবা অন্য ঘরে শুয়ে ছিলেন। হটাৎ আগুনের তাপ লাগার পর ঘুম ভাঙলে মা বাবাকে ডেকে সজাগ করি। এর পর বাবা মা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
ইউপি সদস্যের স্বামী মজর আলী বললেন, আগুন লাগার দিন আমরা সবাই একই রুমে ছিলাম। হঠাৎ আগুনের তাপ লাগার পর আমি সবাইকে ডাকাডাকি করে গুম থেকে সবাইকে সজাগ করি। এবং ঘরে থাকা জিনিসপত্র সারাতে থাকি। এসময় আমার স্ত্রী ইউপি সদস্য অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে আমি ঘর থেকে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেই। এসময় চাদের আলোতে দেখা গেছে পাঁচজন লোক দৌড়ে গ্রামের দিকে চলে যেতে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য হাজেরা বেগম বলেন, আমি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াপর থেকে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। শুক্রবার রাতে কে বা কাহারা আমার ঘরে আগুন লাগিয়েছে ঘরটি পুড়িয়ে দেয়ার জন্য।
এব্যাপারে স্থানীয় তেগাংগা গ্রামের আব্দুল হান্নান, আলফু মিয়া, আবুল কালাম জানান, চিৎকার শুনে ঘটনা স্থলে গেলে, সেখানে গিয়ে আগুন নিভানো দেখি। বসত ঘরের বাইরে খড়কুটার কিছু পোড়ানো আংড়া দেখতে পাই। যা নিতান্তই একটা সাজানো নাটকের বহিঃপ্রকাশ বলে ধারণা।
এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর জানান, আগুনের কথা শুনে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘরের বাইরে খড়কুটার আগুনের চিহৃ ছিল।