স্টাফ রিপোর্টার ঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাশ রানাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে
ছাত্র জনতা।
আজ (মঙ্গলবার) রাত ৯ টায় সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারের ফাতেমা রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে পাকড়াও করে তারা। এরপর গনপিটুনি দিয়ে মদন মোহন কলেজ এলাকায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কতোয়ালী মডেল থানা পুলিশকে ঘটনা জানানো হলে, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি আইসি এসআই আলী হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে তাদের হাতে সোপর্দ করা হয় রাজনীতিক এ ডেভিলকে।
তার বিরুদ্ধে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলা ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সহানীয় সূত্র জানায়, পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারীকালীন সময়ে নিজ ইউনিয়ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সে। তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির খবর প্রকাশ হলেও সে ছিল বেপরোয়া।
জানা যায়, অবৈধভাবে ১৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২৪ সালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন (গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪) উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুর রহমান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা ওই ইউনিয়নের মাধবপুর, পাঞ্জারাই, টুকের বাজার, শেরপুর বৈলাকিপুর এলাকার এলজিআরডির বিভিন্ন রাস্তার গাছ কর্তন করে গোপনে বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া ওই ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২ সালের ট্যাক্সের ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ট্যাক্সের ১ লাখ ৪১ হাজার ১৭০ টাকা সহ মোট ১৯ লক্ষ আট হাজার ৫৪০ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা চেয়ারম্যান নির্বাচন হওয়ার পর থেকে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তাঁর পছন্দের ইউ/পি সদস্যদের নিয়ে ইউনিয়নের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি ও ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
গত ৫ আগস্ট দেশে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতার মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধাব আসামী হওয়ায় আত্মগোপনে চলে যান চেয়ারম্যান রানা। এরপর থেকে চেয়ারম্যান রানার অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন ও রানাকে অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
শেয়ার করুন