বরিশাল প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার এক সন্তানের জননী গৃহবধু রুমানাকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করায় স্বামী আঃ ছালাম সহ আরো ৩ জনকে আসামী করে মোকাম পিরোজপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে ভুক্ত ভোগী রুমানা। গতকাল নির্যাতনের স্বিকার মোসাঃ রুমানা মোকাম পিরোজপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্বামী আব্দুস ছালাম, পিতা মৃত্যু মোঃ শামসুল হক, ছালামের ১ম স্ত্রী নারগিছ জাহান, ১ম ঘরের সন্তান ফারদী ইভা ও মাগুরার মৃত্যু আঃ হাকিমের ছেলে মাহবুব কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু কেস নং ৭৪/২২ নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(খ)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায় ১ নং আসামী আব্দুস ছালাম গত ২০১৮ সালে শরা শরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। সন্তানের বয়স ৪ মাসের মাথায় আব্দুস ছালাম স্ত্রী রুমানাকে ২ নং আসামী (বাদীর স্বামীর ১ম স্ত্রী)’ র কু পরামর্শে তালাক দিলে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে পুনরায় কাবিন রেজিস্ট্রিমুলে তারা আবার সাংসারিক জীবন শুরু করে। উল্লেখ্য যে আব্দুস ছালামের ১ম সংসারে কোন পুত্র সন্তান নেই।এমনকি আব্দুস ছালামের ভাইদের ও কোন পুত্র সন্তান নেই। তাদের বংশে একমাত্র পুত্র সন্তান আব্দুস ছালামের ২য় ঘরের স্ত্রী রুমানার গর্ভের সন্তানটি। তাই রুমানার সব সময় আতংকে থাকতে হয় না জানি তার ছেলেটাকে মেরে ফেলে। অভিযোগে জানা যায় বিবাহের পর থেকে আসামী আব্দুস ছালাম বাদী রুমানার কাছে যৌতুক দাবী করে আসছে। সন্তানের জন্মের পর তৎসময়ের স্বরূপকাঠীতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এ্যাড. শ ম রেজাউল করিমের হস্তক্ষেপে স্বামী ও স্বজনদের অত্যাচার হতে রক্ষা পেয়ে সংসার ফিরে পাওয়া রুমানাকে তার সন্তানের বয়স ৪ মাসে হতেই পুনরায় নির্যাতনের শিকলে বন্ধী হতে হয়। তারপর প্রতিনিয়ত যৌতুকের দাবীতে মারধর অব্যহত থাকে। স্ত্রী রুমানা তার বাবার বাড়ির অসহায়ত্বের কথা বললে ও তার স্বামী আব্দুস ছালাম যৌতুকের দাবীতে অনঢ় থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয় নেছারাবাদ পৌর মেয়র, থানার ওসি যৌতুকের অন্যায় দাবী প্রত্যাহার করে মিমাংসা করে দেয়। অসহায় রুমানা নাবালক সন্তানের কথা চিন্তা করে পাষন্ড স্বামীর অশ্লীল গালিগালাজ ও শারিরীক নির্যাতন সহ্য করে আসছে। অভিযোগে আরো জানা যায় বিগত দিনে স্বামীর পাশাপাশি ১ম স্ত্রী ও তার মেয়ে বাসায় এসে রুমানাকে মারধর করতো।
মামলা সুত্রে ও রুমানার ভাষ্যমতে তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন বিকালে তার স্বামীসহ অন্যান্য আসামীরা বাসায় এসে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে অন্যথায় তালাক দিবে বলে হুমকি দেয়। সাথে থাকা তার স্বামীয় ১ম স্ত্রী নারগীছ জাহান তাৎক্ষনিক আমার স্বামীকে বলে আমাকে তালাক দিতে। আমি তালাকের প্রতিবাদ করলে তারা দলবদ্ধ হয়ে পানির পাইপ দিয়া আমাকে বেদরক মারধর করে। আমি যন্ত্রনায় চিৎকার দিলে ২/১ জন ভাড়াটিয়া এগিয়ে আসলেও ওদের ভয়তে আমাকে
মারধরের হাত হতে ছাড়াতে কেহ আসেনি। বেহুশ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে প্রহার করে চলে যায়। আমি ঘটনার দিন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নেছারাবাদ স্বরুপকাঠি থানায় বিচারের জন্য মামলা করতে গেলে আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার মামলা গ্রহন না করায় আদালতে মামলা দায়ের করি বলে রুমানা জানায়। বর্তমানে রুমানা তার সন্তানকে নিয়ে জীবন নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগতেছে। রুমানা এলাকার গন্য মান্য ব্যক্ত সহ প্রশাসনের ও দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী সন্তানকে নিয়ে বেচে থাকার। কিন্তু শুকুনী নজরের হাত থেকে তার সন্তানকে বাচাতে সংগ্রাম করে ও নিস্তার পাচ্ছেন না অসহায় এই রুমানা। তিনি এম পি, মন্ত্রী এমন কি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ও তার এবং তার সন্তানের প্রান ভিক্ষা চাচ্ছেন। সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তার ও তার সন্তানকে সমাজে বেঁচে থাকার শেষ আকুতি জানিয়েছেন। তিনি জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজির সুদৃষ্টি কামনা করেন।