পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচজন জেনারেল ম্যানেজারকে চাকরিচ্যুত এবং সমিতির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ৪ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুমিল্লার প্রধান কার্যালয় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে জড়ো হন সমিতির কর্মচারীরা। সকাল থেকে সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন তারা।
পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন হাজির হন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।
এদিকে বেলা ১২টা থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকার বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েন। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় (সন্ধ্যা ৬টায়) জেলার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা বেলাল হোসেন জানান, দাবি-দাওয়া থাকবেই। তাই বলে সব সময় জনগণকে হয়রানি করে কেন? এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে এখন দাবি মানেই জনগণের হয়রানি।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কর্মচারীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। গ্রেপ্তারদের নামে করা মামলা তুলে না নিলে এবং চাকরিচ্যুত জিএমদের পুনর্বহাল না করলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সমিতির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করলেও কুমিল্লা পিডিবির আওতাভুক্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল।
শেয়ার করুন