আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ টানা ছয় ম্যাচ হারল। এবারের হার পাকিস্তানের বিপখে। ব্যবধান ৭ উইকেটের।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ইডেন গার্ডেনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ ওভার ১ বল খেলে ২০৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। জবাবে পাকিস্তানের ১২৮ রানের উদ্বোধনী জুটির কল্যাণে ৩২ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের পক্ষে ফখর জামান করেন সর্বোচ্চ ৮১ রান। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩টি উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পঞ্চম বলে তানজিদ হাসান তামিমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলান পাকিস্তানি পেসার। ৫ বলে কোনো রান না করেই ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার। সতীর্থকে অনুসরণ করে ড্রেসিংরুমে দ্রুত ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হাসান শান্তও। ৪ রানে বাংলাদেশের সহ অধিনায়ক ফেরেন শাহিনের বলেই।
দলের হাল ধরতে এসে দ্রুত ফেরেন মুশফিকুর রহিমও। হারিস রউফের বলে ৫ রানে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এতে করে টুর্নামেন্টের নিয়মিত রুটিনই যেন অনুসরণ করেছে বাংলাদেশ। শুরুতেই টপ অর্ডার ধসে যাওয়া। মুশফিকের আউটে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২৩ রানে ৩ উইকেট।
সেখান থেকে বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন দুজনে। কিন্তু ৪৫ রানে লিটন আউটের পর আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৫ রানের জন্য লিটন না পেলেও ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ফিফটি করার পর ইনিংসকে বড় করতে পারেনি তিনিও। ৫৬ রান করে সতীর্থর দেখানো পথেই ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এ ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে আবারও ফেরা তাওহীদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ টেকেননি। ৭ রানে আউট হন তিনি। ১৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন পাকিস্তানি বোলারদের সামনে ধুঁকছিল বাংলাদেশ।
এতে করে বাংলাদেশ দুই শ রান করতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ২০৪ রান আসে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সৌজন্য। দুজনে মিলে ৭ম উইকেটে ৪৫ রান যোগ করেন। ৪৩ রানে সাকিব আউট হলে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মাঝে ২৫ রান করেন মিরাজ। বাংলাদেশের শেষ ৩ উইকেটই নেন ওয়াসিম জুনিয়র। তার সমান উইকেট পেয়েছেন শাহিনও।
শেয়ার করুন