পূজনের উপর হামলা: বাসায় আ. লীগ নেতারা

সিলেট

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সদস্য ও সিলেট জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) প্রবাল চৌধুরী পূজনের উপর হামলার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। হামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য শুক্রবার বিকেলে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

এদিকে শুক্রবার রাতে পূজনের বাসায় যান সিলেট জেলা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে পূজনের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পূজন আহত হন।

হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, গতকাল (১০ আগস্ট, ২০২৩) সিলেটে ঘটা অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের উদ্দেশ্যে ০৪ (চার) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো এবং তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত রির্পোট ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দণ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বরিকুল ইসলাম বাধন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাইনুল হাওলাদার, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং মো. তাওহীদ বনি, আইন সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

রাতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি দে, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট  নগরের দাড়িয়াপাড়ায় পূজনের বাসায় যান।

এসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জানা গেছে, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে দাড়িয়াপাড়া পয়েন্টে জড়ো হন। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পূজনের উপর হামলা চালায়। এসময় পূজনকে লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে পূজন আহত হন। পরে হামলাকারীর মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

হামলার পর অ্যাডভোকেট পূজন জানান, সিলেট জেলা ও মহানগরের ছাত্রলীগের কমিটি এবং চিনি চোরাচালান নিয়ে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি পোস্ট করেন। পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। এই পোস্টের জেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়।

অ্যাডভোকেট পূজন জানান, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এ হামলায় নেতৃত্ব দেন।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানেন না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করে থাকলে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *