বিশ্বনাথে আলোচিত অপহরণ মামলা : পরকিয়া প্রেমিকসহ সেই গৃহবধু উদ্ধার

সিলেট

সিলেটের বিশ্বনাথে স্বামীর ঘর ছেড়ে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে ২০দিন পূর্বে পালিয়ে যান সোমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু। ওই গৃহবধু উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের খেজুর মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়ার (৩২) স্ত্রী। কিন্তু মেয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেলেও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও স্বামী সিজিল মিয়াকে আসামি করে আদালতে অপহরণ মামলা করেছেন সোমা আক্তারের মা সৈয়দা বেগম (৪৩)।

সিজিল মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন তিনি। বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩৯১/২০২৩ইং। বাদি সৈয়দা বেগম পূর্ব চান্দশির কাপন গ্রামের সৈয়দ জুবেদ মিয়ার স্ত্রী।

এদিকে, একই দিনে স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন স্বামী সিজিল মিয়া। (সাধারণ ডায়েরী নং-৩৪২)। তিনি ডায়েরীতে উল্লেখ করেন ২০ সেপ্টেম্বর সকালে কাউকে কোন কিছু না বলে তার স্ত্রী সোমা বেগম বাসা থেকে উধাও হয়ে যান। আর এই ডয়েরী মূলে প্রেমিক সাহেল আহমদ (২৩) সহ সোমা আক্তারকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০অক্টোর) দিবাগত রাতে এয়ারপোর্ট থানার উমদার পাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। সাহেল আহমদ ফারুক মিয়ার ছেলে।

জানতে চাইলে ওসমানীনগর সার্কেল আশরাফুজ্জামান বলেন, স্বামীর জিডি মূলে উদ্ধার করে তাদেরকে বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু সোমা আক্তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার পর ঘটে আরেক নাটকীয় কাহিনী। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও স্বামী সিজিল মিয়াকে আসামী করে সোমা আক্তারকে অপহরণ ও গুম করে রাখার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন গৃহবধু সোমা আক্তারের মা সৈয়দা বেগম (৪৩)। গত ৪দিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিজিল মিয়ার উপর এই অপহরন মামলা নিয়ে চলছে তুলপাড়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *