ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁও গ্রামস্থ মনোয়ারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ‘চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন’ কমিটির উদ্যোগে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুল ছাত্র সুমেল ও কৃষক দয়াল হত্যা মামলার আসামীদের জামিন বাতিল ও আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে হাওর দখলের পায়তারার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও-জলদস্যু তাড়াও, ভূমি খেকো হঠাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান উপদেস্টা মুহিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, সংগঠনের উপদেস্টা আজম আলী মেম্বার, প্রবাসী আনহার মিয়া, শাহীন মিয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক এম এ রব।
চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক শফিক আহমেদ পিয়ারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক হাজী আরিফ উল্লাহ সিতাব, শামসুদ্দিন মেম্বার, নজির উদ্দিন, আমতৈল গ্রামের মাহতাব উদ্দিন, সত্তিশ গ্রামের ইব্রাহীম আলী, দৌলতপুর গ্রামের আজাদুর রহমান, নোয়াগাঁও গ্রামের রওশন আলী।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ছমির উদ্দিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া মেম্বার।
সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ১১ বছর চাউলধনীর হাওর সাইফুল গংদের দখলে থাকার কারণে কৃষকরা পানি সেচের অভাবে সেভাবে ধান উৎপাদন করতে না পারলেও এবছর ফসল উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব হাওরের সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করে জলদস্যুদের কবল থেকে কৃষি ও কৃষকদের রক্ষার জন্য প্রশাসনসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। আদালতে চলমান মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে সাবলিজ বা লিজের নামে হাওরে মাছ শিকার করতে না পারে বা না আসে সেজন্য হাওর পারের বাসিন্দাদের স্বজাগ দৃষ্টির রাখার আহবান করা হয় সভায়। আর হাওর দখলের জন্য আর কোন জলদস্যুর সৃষ্টি হলে হাওর পারের ২৫টি গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে তাকে বা তাদেরকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন বক্তারা।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার শওকত আলী, মাহফুজ আলী, জাবের মিয়া, জুনেদ মিয়া, রফিক মিয়া, আজাদ আলী, নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, ছায়েদ মিয়া, আব্দুল মতিন, আহমদ আলী, হুমায়ুন আহমদ, সিতাব আলী, হুসেন মিয়া, মাজেদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, লায়েক মিয়া, কয়েছ আলী, বুরহান মিয়া, শফিক মিয়া, জাহেদুল ইসলাম রিপন, তারেক মিয়া, শহিদুল ইসলাম, সুহেল মিয়া, কুতুব উদ্দিন, রিপন মিয়া, রুহেল উদ্দিন, জয়েল মিয়া, ধন মিয়া, বাবুল মিয়া, আতাউর রহমান, আব্দুর রর, মাহমদ আলী, মানিক মিয়া, এখলাছুর রহমান, নাহিম মিয়া, হাফিজুর রহমান, আফছর আলী, কালা মিয়া, শানুর আলী, তাজর আলী, নিজাম উদ্দির, দবির মিয়া, লাল মিয়া, আনছার আলী, আব্দুল মোমিন, হেলাল আহমদ, সোহাগ আহমদ, আরিফ মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, ইছহাক আলী, এখলাছুর রহমান, লিয়াকত আলী, আছাব আলী, জাহির আলী, তজম্মুল আলী, সিতাব আলী পংকি, নূরুল হক, ইসলাম উদ্দিন, তফুর মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
শেয়ার করুন