মহানবী (স.) বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর আদর্শ রেখে গেছেন : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর, অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন। যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে  আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্ব মুসলিমের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, “মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে পাঠিয়েছি’ (সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপরক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন।– আমিন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *