সিলেট নগরের মজুমদারীতে ফুফুর বাসায় বেড়াতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত দুই তরুণীর একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিয়া রহমান (১৮)।
সামিয়া বিয়ানীবাজার উপজেলার বড়আইল গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে। বিদ্যুৎতাড়িত হয়ে তার শরীরের ৯০ ভাগ ঝলসে গিয়েছিল।
জানা যায়, মজমুদারীতে ফুফুর বাসায় বেড়াতে এসে গত বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভবনের তিন তলার ছাদ থেকে কাপড় আনতে যান সামিয়া ও ইভা। এ সময় ছাদ ঘেঁষে যাওয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যান সামিয়া। মুহূর্তে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ইভা। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ অপর ফুফাতো বোন সাদিয়া জান্নাত ইভা (২৩) বিয়ানীবাজার উপজেলার বালিঙ্গা গ্রামের সাহেল আহমদের মেয়ে। তার দুজনই কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় ইভাও ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সামিয়ার খালাতো ভাই দিপু আহমেদ জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিয়া। এ ঘটনায় আহত সাদিয়া জান্নাত ইভাও ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে বুধবার বিকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ সামিয়াকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, দগ্ধ সামিয়া রহমানের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ হয়।
ঢাকায় প্রেরণের এক দিনের মাথায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিয়া।
শেয়ার করুন