ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে গত দুইদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ চলছে। সেখানে রেকর্ড ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।
ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সীমান্ত একালার যাদুকাটা, চলতি, খাসিয়ামারা ও চেলানদীর পানি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ সদরের নিম্নাঞ্চল। এছাড়া পানির তোড়ে দোয়ারাবাজারের লক্ষীপুর, বোগলা, সুরমা ও ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে পানি উঠায় যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচে এবং ছাতক পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৫ মিলিমিটার। আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে বলে জানান ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, চেরাপুঞ্জিতে অধিক বৃষ্টি হওয়ায় ঢল এসে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। টানা বৃষ্টি আর ঢল অব্যাহত থাকলে আজকের মধ্যে বিপৎসীমার অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
শেয়ার করুন