শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
মোংলায় পূর্ব বিরোধের জেরে দু পক্ষের দফায় দফায় মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে মোর্শেদ সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ ইলিয়াস খাঁন মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বিরোধীদের সাথে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শেরে বাংলা সড়কের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ইলিয়াসের সাথে বিরোধ ও মনোমালিন্য চলে আসছে। এরই জের ধরে গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে মোংলা পৌর শহরের একই এলাকার মৃত ইউনুস মোল্লার ছেলে মোঃ শহিদুল মোল্লা (৪৫), মোঃ জামাল মোল্লা (৫৬), মৃত একলাজ ফকিরের ছেলে মোঃ দুলাল ফকির (৩০), শহিদুল মোল্লার ছেলে মোঃ নুর নবী মোল্লা (২৭), মোঃ সাদ্দাম (২৯), এবং নাইম মোল্লা (২২) ২নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা সড়ক কুমারখালী এলাকায় আমার বসত বাড়ীতে এসে অহেতুক ভাবে আমাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমার ছেলে আবির খান (১৬) বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি ও স্বজরে চড়থাপ্পড় মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। বিভিন্ন রকম ভয়তীতি ও আমাকে পেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার বসক বাড়ীর সামনের রাস্তায় এসে তারা ওৎ পেতে থাকে। সংবাদ পেয়ে আমি সহ আমার সাথে মোঃ শাহ আলম শিকদার ও মোঃ সোহেল মটর সাইকেল যোগে আমার বসত বাড়ীর সামনে গেলে বিবাদীরা অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করে আমাদের এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে বিবাদীরা নানাবিধ ভয়ভীতি ও সুযোগ পেলে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এঘটনায় মোংলা পৌর ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শাহালম শিকদার আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোঃ শহিদুল মোল্লা অস্বিকার করে বলেন আমরা তাদের কোন মারধর করি নাই বরং তারাই আমার ছেলেদের মারধর করেছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিয়েছে। তবে ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শেয়ার করুন