রোজায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে প্রাথমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখ পড়েছে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ি করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
প্রচলিত নিয়মে রমজান মাস জুড়েই স্কুল-কলেজ ছুটি থাকে। তবে গেলো বছর করোনায় ক্ষতি পোষাতে রমজানেই কিছু দিন খোলা ছিলো শ্রেণি কার্যক্রম। এবার ২৩ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা ছুটিতে আছে মাধ্যমিক উচ্চ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ইস্টার সানডে, বৈসাবি, নববর্ষ ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি কলেজ, আলিয়া মাদরাসা ও টিটি (টিচার্স ট্রেনিং) কলেজেও একই সময়ে ছুটির ঘোষণা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।
রাজধানীসহ বড় বড় শহরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাধ্যমিকের মতোই তাদের ছুটি থাকবে ২৩ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটিও একই।
কিন্তু চলছে অন্যসব প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সাত এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের ছুটি শুরু হবে। অর্থাৎ ১৫ রমজান পর্যন্ত ক্লাস হবে। কিন্তু মূল সংকট হচ্ছে সেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, যারা মাধ্যমিক স্কুলের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করছে।
রমজানে মাধ্যমিকে স্কুল বন্ধ আর প্রাথমিকে খোলা রাখায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার লাখ শিক্ষকের মধ্যে। তারা বলছেন, যেসব অভিভাবকের সন্তান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই স্কুলেই পড়ে তাদের সমস্যা হবে।
৩৫৬ দিনের মধ্যে ১৮৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রমের দিন ঠিক করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষাবোর্ড- মাউশি। কর্মকর্তারা বলছেন, এনসিটিবির পরিকল্পনায় এটি হয়।
ছুটি কম দেয়ার কারণ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা, করোনায় ক্ষতির ধকল কাটাতে এবারেও রোজায়ও ক্লাস চালানো হচ্ছে।
আগামীতে ছুটির তালিকা তৈরিতে একমত হবে কি-না, তাই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করবে জানিয়েছেন সচিব।
শেয়ার করুন