লাখাইয়ে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত রং মেশানো শিশুদের আইসক্রিম, নেই প্রশাসনের কোন উদ্যোগ

হবিগঞ্জ

লাখাই উপজেলায়  শিশুদের লোভনীয় খাবার আইসক্রিম  গরমকালে চাহিদা বাড়ে, এদিকে আইসক্রিম বিক্রিতে নজর কাড়তে নামে বেনামে বিভিন্ন রং মেশানো হয় আইসক্রিমে। দুধের মালাই বলে বিক্রি করা আইসক্রিমে নেই দুধের ছিটেফোঁটো। স্বাদের দুধ মালাইয়ে ব্যবহার হচ্ছে রং হিসেবে কাপড়ে ব্যবহারযোগ্য এরারুট।জেনে না জেনে অভিভাবকরাও সেই উপকরণটি তুলে দেন শিশুদের মুখে।

বিষাক্ত রাসায়নিকে তৈরি আইসক্রিম কেবল শিশুরাই নয়, সঙ্গে বড়রাও খাচ্ছেন না জেনেই। আর আইসক্রিমের এসব রাসায়নিক রঙেরকারণে মানবদেহের সব সিস্টেমে প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও।

স্থানীয়রা জানান, ঐতিহ্যবাহী লাখাই  বাজারে অবস্থিত রাধা রমন রায়ের ছেলে মনা রায়  দীর্ঘদিন ধরে  খাওয়ার অনুপযোগী বিষাক্ত রং  এর  দোকান খোলে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই দোকান থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে এই বিষাক্ত রং। নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত শিশুদের টার্গেট করে এ দোকান থেকে রং নিয়ে  তৈরি করা হচ্ছে আইসক্রিম সহ বিভিন্ন শিশু খাদ্য। এ দোকানে  নেই কোন সরকারি অনুমোদন। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক সব পদার্থ। প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর রং, নোংরা পানি, এরারুট ও লেবেলবিহীন ফ্লেভার।

এ বিষয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক হিমাংশু লাল রায়  বলেন, আইসক্রিমে যেসব রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়, সোজা কথা শরীরের সব সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। বড়দের চেয়ে বেশি ক্ষতি করে শিশুদের দেহে। এসব রাসায়নিক কিডনিতে প্রভাব ফেলে। যে কারণে ক্রমশ, কিডনি কার্যকরিতা হারায়। তাছাড়া নিম্নমানের আইসক্রিমে ক্যান্সারের উপাদান থাকে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে আইসক্রিম খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মানুষকে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর বিধান সোম বলেন  মনা রায়ের অবৈধ রঙের দোকান  সহকারী কমিশনার ভূমি স্যারকে নিয়ে মোবাইল কোট করে তার দোকানে তালা দিয়েছিলাম মুসলেকা দিয়ে সে দোকান খুলেছিল,  তিনি আরো বলেন আমি দেখে সারের সাথে আলাপ করে ব্যাবস্হা নিব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *